বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আসাদুল্লাহকে কুপিয়ে হাত-পায়ের ‘রগ কেটে’ দিয়েছে প্রতিপক্ষরা। আহত আসাদুল্লাহকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (৮ মার্চ) রাত ১০টার দিকে নিয়ামতি বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আসাদ নিয়ামতি বন্দর এলাকার মো. আলমগীর হোসেনের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, স্থানীয়ভাবে জানা গেছে উভয় গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। আজ (শনিবার) রাতে আসাদুল্লাহকে একা পেয়ে কুপিয়ে জখম করে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে আমরা অভিযান চালাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, এটা রাজনৈতিক কারণে ঘটেনি। নিয়ামতি বন্দরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পূর্বের দ্বন্দ্বের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিয়ামতি ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহীন ফরাজীর সঙ্গে ছাত্রদল নেতা আসাদুল্লাহর দীর্ঘদিনের বিরোধ চলে আসছে। প্রতিপক্ষের মামলায় ছাত্রদল নেতা এর আগে কারান্তরীণও ছিলেন। ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তন হলে স্থানীয়ভাবে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ আরও প্রকট আকার ধারণ করে।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে আসাদের স্বজনদের অভিযোগ, শনিবার রাতে নিয়ামতি বন্দরে নিজেদের ফলের দোকানে বসে ছিলেন আসাদ। এ সময় শাহীনের নেতৃত্বে ১০-১৫ জনের একটি দল ধারালো অস্ত্র নিয়ে আসাদের ওপর হামলা করে। তারা আসাদকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে দুই হাত ও এক পায়ের রগ কেটে দিয়ে মুমূর্ষ অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যান।
স্থানীয়রা বলেন, গত দুর্গাপূজার সময় নিয়ামতি বন্দরে এসেছিলেন বরিশাল ৬ আসনের সাবেক এমপি ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন খান। তাকে স্বাগত জানাতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা শাহীন স্লোগান দিলে তাকে নিষেধ করেন আসাদ। এতে শাহীন ক্ষিপ্ত হয়ে আসাদকে চড় দেয়। পরে আসাদ লোকজন নিয়ে শাহিনের ভাইকে মারধর ও জখম করে। এ ঘটনার মামলায় আসাদ জেলেও যায়।
তারা বলেন, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতির পদ থেকেও বহিষ্কার হয়ে দীর্ঘদিন এলাকায় আসতে পারেনি। বোনের বিয়ে উপলক্ষে কয়েক দিন আগে এলাকায় আসেন।