বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের(পিএসসি) সামনে নিজেদের দাবি নিয়ে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন নন-ক্যাডার চাকরিপ্রার্থীরা।
রবিবার(৩০ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়। আগের পদ্ধতিতে নন-ক্যাডার নিয়োগের দাবিতে তারা এ কর্মসূচি দিয়েছেন।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লাগাতারব কর্মসূচি চলবে বলেই জানিয়েছে চাকরিপ্রার্থীরা। এই ছয় দফা দাবি না মানায় চাকরিপ্রার্থীরা পিএসসির সামনেই লাগাতার টানা এ অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন। নতুন পদ্ধতিতে নন-ক্যাডার নিয়োগ না দিতে পিএসসির প্রতি আহ্বান জানান তাঁরা।
একজন চাকরিপ্রার্থীর ভাষ্যমতে, নন-ক্যাডার নিয়োগের ক্ষেত্রে আগের যে নিয়ম তাতে কোনো সমস্যা হয়নি। অনেকে নন-ক্যাডার থেকে চাকরি পেয়েছেন এবং সম্মানের সঙ্গে চাকরি করে নিজেদের বেকারত্ব ঘুচিয়েছেন। আগের বছরগুলোয় নন-ক্যাডার নিয়োগে পিএসসি যে নিয়ম অনুসরণ করেছে, তাতে পিএসসি বেকারবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
কিন্তু সেই নিয়ম থেকে সরে এসে পিএসসি তরুণদের বেকারত্ব বাড়ানোর মতো কাজ করছে বলেই জানান তিনি।
৪৪তম বিসিএস পর্যন্ত আগের নিয়মে নন-ক্যাডার নিয়োগের পদ্ধতি বহাল চান এই চাকরি প্রত্যাশীরা৷
চলতি বছরের ৬ অক্টোবর ৪০তম বিসিএস উত্তীর্ণ নন-ক্যাডার সুপারিশপ্রত্যাশী ও চাকরিপ্রার্থীরা পিএসসির সামনে মানববন্ধন শুরুর মাধ্যমে কর্মসূচি দেওয়া শুরু করেন।
১৬ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে পিএসসির কাছে ছয় দফা দাবি উত্থাপন করে কর্মসূচি দেন তাঁরা। এই দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে দেশের আট বিভাগের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের চাকরিপ্রার্থীরা গত ২০ অক্টোবর একযোগে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন।
২০১০ সালে গঠিত হয় বিসিএস নন-ক্যাডার নিয়োগের বিধিমালা। এটি ২০১৪ সালে সংশোধন করা হয়, এ সংশোধন সরকারই করেছে বলে জানান পিএসসির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, আগের বিসিএসগুলোয় নন-ক্যাডার নিয়োগের সময় সেই নীতিমালা অনুসারে নন-ক্যাডার নিয়োগের কথা থাকলেও তা করা যায়নি। তাই সেই বিধিমালা বাস্তবায়ন করতে ৪০তম বিসিএস থেকে ওই নীতি অনুসরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
পিএসসি’র এ কর্মকর্তা বলেন, নীতিমালা অনুসারে নিয়োগ নেওয়া কিংবা না নেওয়া এটা পিএসসির ইচ্ছা অনুসারে হবে না। এখন সরকার যদি নীতিমালার বাইরে গিয়ে নন-ক্যাডার নিয়োগে পিএসসিকে নির্দেশ দেয়, তাহলে তাঁরা সেই নির্দেশ বাস্তবায়ন করবে।
নীতিমালা অনুসরণ করা বা না করা সরকারের এখতিয়ার বলেও জানান পাবলিক সার্ভিস কমিশনের এই কর্মকর্তা।