সরকার সারা দেশে বিএনপিসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের নির্মূলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, মিথ্যা মামলা, বাসায় বাসায় তল্লাশি, গ্রেফতার আতঙ্ক সৃষ্টি করে জনগণের চলমান আন্দোলন কোনোভাবেই দমন করা যাবে না। জনগণের তীব্র আন্দোলনের মুখে এই অবৈধ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।
শুক্রবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। তার ভাষ্য, জনগণের ম্যান্ডেড বিহীন সব ক্ষেত্রে ব্যর্থ এই সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে হামলা, মিথ্যা মামলা দায়ের, নেতাকর্মীদের বাসায় বাসায় রাতের আঁধারে তল্লাশি করে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। গণগ্রেফতার চালিয়ে তাদের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে পারবে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, মামলা, নির্যাতনকে উপেক্ষা করে এদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ রাজপথের আন্দোলন আরও বেগবান করে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটাবে।
বিবৃতিতে কিশোরগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর সরকারের ‘দমন নিপীড়নের’ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার,নেতা-কর্মীদের বাসায় বাসায় তল্লাশি ও হয়রানী বন্ধের দাবি জানান মির্জা ফখরুল।
তিনি অভিযোগ করেন, ১৬ জানুয়ারি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অপব্যবহার করে চট্টগ্রামে সমাবেশে আগত নেতাকর্মীসহ জনসাধারণের ওপর গুলি, লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল নিক্ষেপসহ গ্রেফতার ও নির্মম নির্যাতন করে। ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়ে কর্মসূচি পণ্ড করে দেয়। রাতে বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে।
তিনি জানান, তাদেরকে আটক করতে রাতের আঁধারে তাদের বাসা বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালায়। তাদের পরিবার পরিজনের সঙ্গে অসৌজন্য আচরণ ও হয়রানি করে। হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নিতে ঢাকায় আসার পথে কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তিসহ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে। এমনকি ১৯ জানুয়ারি মহান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে যোগদানকারী নেতাকর্মীদেরকেও গ্রেফতার করে। সমগ্র চট্টগ্রাম মহানগরীতে পুলিশ আতঙ্ক এবং নির্যাতন চালাচ্ছে।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর, ভৈরবসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী কর্মীরা বিএনপির কর্মসূচিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। কুলিয়ারচর উপজেলাধীন সালুয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সরাপ উদ্দিন সুপন, ফরিদপুর ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মো. জালালসহ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে। বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলমসহ কুলিয়ারচর উপজেলা ও পৌর বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।