জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে কোন প্রকল্পের কাজ চলতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘যেকোনো নির্মাণ প্রকল্পে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকতে হবে। নির্মাণ প্রকল্প এলাকার কমপ্লায়েন্স, বিদ্যুৎ সংযোগের কমপ্লায়েন্স ও মানুষের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করেই কাজ চালাতে হবে। শুধু বিআরটি প্রকল্প নয়, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে কোন প্রকল্পের কাজ চলতে দেয়া হবে না।’
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর উত্তরার জসিম উদ্দিন রোডে বিআরটি প্রকল্পের কাজ চলাকালীন গতকাল ক্রেন থেকে গার্ডার পড়ে ঘটিত দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন।
পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে ডিএনসিসি মেয়র বলেন ‘বিআরটি প্রকল্পের ক্ষেত্রে ব্যস্ত সড়কে প্রতিবন্ধকতা দিয়ে ভারী গার্ডার তুলতে হবে। একটি ক্রেন দিয়ে কাজ করার সময় যেকোনো ত্রুটি হতে পারে বা দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই উদ্ধার কাজ চালানোর জন্য বিকল্প আরও একটি ক্রেন প্রস্তুত রাখতে হবে। দুর্ঘটনার পর আহতদের হাসপাতালে নেয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সও থাকার কথা। বিআরটি এগুলোর কিছুই করেনি।’
তিনি আরও বলেন, ক্রেন দিয়ে গার্ডার তোলার সময় যান চলাচল বন্ধ রাখা বা বিকল্প পথ ব্যবহারের জন্য পুলিশের ট্রাফিক বিভাগকে অবহিত করে তাদের সহায়তা নেয়া উচিত ছিল। আমি খোঁজ নিয়েছি বিআরটি প্রকল্প থেকে ট্রাফিক বিভাগের সাথে কোন যোগাযোগ করা হয়নি। তাদের অবহেলার কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এভাবে আর চলতে দেয়া যায় না।
এসময় উপস্থিত বিআরটি প্রকল্পের মহা ব্যবস্থাপকের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, প্রকল্প চলাকালীন নিরাপত্তার বিষয়গুলো সাইনবোর্ডের মাধ্যমে প্রদর্শন করতে হবে। প্রকল্প কবে শেষ হবে সেটিও সাইনবোর্ডে উল্লেখ করতে হবে। মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে ঢাকা শহরে প্রকল্পের কাজ চালানো যাবে না। আর একটি দুর্ঘটনাও যেন না ঘটে সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ‘আমরা গত সপ্তাহেও ডিএনসিসিতে ঢাকা শহরের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর প্রতিনিধিদের সাথে জনগণের নিরাপদ চলাচলের বিষয় নিয়ে সভা করেছি। জনগণের দুর্ভোগ যেন না হয় সেটি বিবেচনায় নিয়ে উন্নয়ন কাজ চালানোর আহ্বান করেছি।’
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বিআরটি’র মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম, ট্রাফিক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।