তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচনকে ভয় পায় বলেই বিএনপি ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটছে। নিজেদের জনপ্রিয়তা সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা রয়েছে বিএনপির। জনপ্রিয়তা না থাকায় নির্বাচনকে ভয় পায় তারা। এ কারণে নির্বাচনের পথে না হেঁটে ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটছে তারা।
সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবন সম্মেলন কক্ষে জাতীয় গণমাধ্যম ইন্সটিটিউট (এনআইএমসি) আয়োজিত ‘সড়ক নিরাপত্তা রিপোর্টিং’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের –‘নির্বাচনের ফাঁদে পা দেবে না বিএনপি’এমন বক্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি আসলে নির্বাচনকে ভয় পাচ্ছে। কারণ ২০০৮ সালে বিএনপি সর্বশক্তি প্রয়োগ করেও মাত্র ২৯টি আসন পেয়েছিল। পরে উপনির্বাচনে তারা আরও একটি আসন পায়। আর ২০১৮ সালের নির্বাচনে বহু দলকে নিয়ে ঐক্য জোট করে তারা। ড. কামাল হোসেন সাহেবের মতো ব্যক্তিকে ‘হায়ার’ করে নির্বাচনে অংশ নিয়েও মাত্র ৭টি আসন পেয়েছিল। তারা তাদের জনপ্রিয়তা সম্পর্কে জানে, নির্বাচনে কতটুকু সাফল্য পেতে পারে তা খুব ভালোভাবে জানে। সেজন্য তাদের নির্বাচনী ভীতি পেয়ে বসেছে। ফলে ষড়যন্ত্রের পথেই হাঁটছে তারা।
আমরা চাই, বিএনপি নির্বাচন ভীতি কাটিয়ে উঠুক এমনই আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, নির্বাচনে অংশ নিক। অন্য সব গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, সেভাবে এখানেও সেভাবে হবে। ক্ষমতাসীন সরকার নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে, নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সেখানে সরকারি দল আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করবে। বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করুক এটিই আমাদের প্রত্যাশা।
‘আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশের কথা শুনলে একাত্তরের শান্তি কমিটির কথা মনে হয়’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্যের জেরে মন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা সাহেবের বাবা শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন, পাকিস্তানপন্থী ছিলেন। স্বাধীনতার পরে মির্জা ফখরুল সাহেবও অনেকদিন আত্মগোপনে ছিলেন, এ জন্য উনার বেশি বেশি শান্তি কমিটির কথা মনে পড়ে, এছাড়া অন্য কিছু নয়।
তিনি বলেন, তারা যখনই রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করে, হয় নিজেরা মারামারি করে নতুবা পুলিশের সঙ্গে মারামারি করে। দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা শান্তি সমাবেশ করছি।
সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, একটা সড়ক দুর্ঘটনা শুধু একজন মানুষকে পঙ্গু বা হত্যা করে তা নয়, পুরো পরিবারকে হত্যা বা পঙ্গু করে দেয়। যানবাহন মালিক, চালক, শ্রমিক, আইন রক্ষাকারীসহ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সমন্বিত উদ্যোগে দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে হবে।
জাতীয় গণমাধ্যম ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ফায়জুল হকের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক আহমেদ, রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আল মাহবুব উদ্দীন আহমেদ, বুয়েটের এক্সিডেন্ট রিসার্চ ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুব আলম তালুকদার, বার্তা সংস্থা ইউএনবির উপদেষ্টা সম্পাদক ফরিদ হোসেন, বিআরটিএ পরিচালক (সড়ক নিরাপত্তা) শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রাব্বানী, এশিয়া-প্যাসিফিক ইনস্টিটিউট ফর ব্রডকাস্টিং ডেভেলপমেন্ট (এআইবিডি) প্রোগ্রাম ম্যানেজার নাবিল তিরমাযি, এনআইএমসি পরিচালক ড. মো. মারুফ নওয়াজ ও মোহাম্মদ আবু সাদিক।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও এআইবিডি’র সহায়তায় আয়োজিত সেমিনারে গণমাধ্যমের ২০ সাংবাদিক অংশ নেন।