সদ্য সমাপ্ত জনশুমারির প্রাপ্ত জনসংখ্যার হিসাব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আজ আমাদের জনসংখ্যা সাড়ে ১৬ কোটির ওপরে। সেই হিসাব কারও কারও পছন্দ হচ্ছে না। আমি তাদেরকে জিজ্ঞেস করবো যে তাদের এই হিসাবটা পছন্দ হয় না কেন? তাহলে নিজেরাই সন্তান পয়দা দিতে থাকুক। জনসংখ্যা বাড়াতে থাকুক। যাদের পছন্দ হয় না তারা সেটা করুক। আমরা খাবার দেবো, কোনো আপত্তি নেই।’
সোমবার (১ আগস্ট) শোকের মাস উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন কৃষকলীগ আয়োজিত রক্ত ও প্লাজমা দান অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমরা চাই প্রত্যেকটা পরিবার যেন সুখী পরিবার হয়। সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে। প্রতিটি ছেলে-মেয়ে লেখাপড়া শিখতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে আমরা প্রাইমারিতে শতভাগ ভর্তির ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এমনকি মাধ্যমিকেও আমাদের ছেলে-মেয়েরা পড়াশুনা করছে। তাদের সংখ্যা বেশি। মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য আমরা বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়েছি। গ্রামীণ অর্থনীতি যেন উন্নত হয় তার ব্যবস্থা নিয়েছি। পাশাপাশি আমরা সাধারণ মানুষকে টাকা-পয়সা দিয়েছি। বিনামূল্যে খাবার দিয়ে যাচ্ছি। আমরা সব রকমের ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনি আমরা ব্যাপকভাবে গড়ে তুলেছি। গ্রামের প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছি।’
বৈশ্বিক সমস্যার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীর প্রত্যেকটা দেশে, আমেরিকা, ইংল্যান্ড কিংবা প্রতিবেশী দেশ ভারত; সকলেই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয় দিকে নজর দিচ্ছে। বিষয়টা সকলের মাথায় রাখতে হবে। উন্নত দেশগুলো হিমশিম খাওয়ায়, আমরা আগাম ব্যবস্থা নিচ্ছি। কারণ ভবিষ্যতে যেন আমরা কোনো রকম বিপদে না পড়ি। বিপদের কথা মাথায় রেখেই আমরা সাশ্রয়ী হচ্ছি। সাশ্রয়ী হওয়ার অর্থ এই নয় যে এখান থেকে আমরা লুটপাট করে খেয়েছি। লুটপাট তো বিএনপি করেছে। আমরা সেই লুটপাট বন্ধ করে উন্নতি করেছি।’