ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুয়েন লুইস বলেছেন, এখন জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটছে এবং তা প্রশমিত ও মানিয়ে নেয়ার জন্য অনেক জায়গা এবং পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘পরিকল্পনাগুলোতে তরুণদের কণ্ঠস্বর একত্রিত ও প্রতিফলিত হচ্ছে। এখন আমাদের পদক্ষেপ জরুরি। জলবায়ু সম্পর্কে আমাদের তরুণদের দৃষ্টিভঙ্গি জানতে হবে।’
বৈশ্বিক পর্যায়ে জলবায়ু আলোচনা এবং তরুণদের কণ্ঠস্বরকে তুলে ধরতে ‘ব্রাইটার্স সোসাইটি অব বাংলাদেশ, অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের সহায়তায় ১৭-১৮ সেপ্টেম্বর ‘বাংলাদেশ ইয়ুথ কপ-২০২২’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী ভার্চুয়াল প্রি-কপ কনফারেন্সের আয়োজন করে।
ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের পরিচালক অধ্যাপক সালিমুল হক বলেন, ‘কপ২৭ থেকে খুব বেশি আশা নেই। বিশ্বের নেতারা কপ-এ একত্রিত হন এবং কিছু ছোট উদ্যোগ নেন। সুতরাং, শুধুমাত্র কপ- সম্মেলনে অংশগ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ নয়।’
তিনি বলেন, গতকালের জলবায়ু পরিবর্তন সমস্যা আজকের বা আগামীকালের জন্য এক নয়। ‘আমরা ইতোমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি এবং ক্ষতির যুগে প্রবেশ করেছি। আমাদের কপ-এ ক্ষতি এবং ক্ষতির বিষয়গুলো তুলে ধরতে হবে। বিশ্বের দূষণকারীদের অবশ্যই দূষণের ভুক্তভোগীদের অর্থ প্রদান করতে সম্মত হতে হবে। অন্যদের সমর্থন ও সম্পৃক্ত করার জন্য তরুণদের নেতা ও কর্মী হিসেবে কাজ করতে হবে।’
সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, এটা আনন্দের যে বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তের তরুণরা সারা বিশ্বের কথা ভাবছে।
তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যাগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আমাদের তাদের প্রয়োজন। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আমরা বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সংকট দেখছি’।
এ আইনপ্রণেতা বলেন, তবে, দুঃখজনক বাস্তবতা হলো আমরা এখনো এর কোনো টেকসই সমাধান পাইনি।
জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জরুরি পদক্ষেপের ওপর জোর দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা তরুণদের কণ্ঠস্বর এবং তাদের সুপারিশগুলো কপ সম্মেলনে তুলে ধরার চেষ্টা করি এবং তাদেরকে ক্রমান্বয়ে যুক্ত করার চেষ্টা করি।’
কপ পূর্ব এই সম্মেলনে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের তরুণরা ছয় দফা দাবি তোলে এবং বিশ্বনেতাদের কাছে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানায়।
এই দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-গড় বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি এক দশমিক ৫ ডিগ্রির মধ্যে রাখা, জীবাশ্ম পোড়ানো বন্ধ করা এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করা, জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য ক্ষতিপূরণ প্রদান, উন্নত দেশগুলোর বাসিন্দাদের জলবায়ু রক্ষার দায়িত্ব প্রদান, জলবায়ু পরিবর্তনে প্রভাবিত নারী ও শিশুদের সুরক্ষা তহবিল নিশ্চিত করা, পরিবর্তন এবং অভিযোজনের জন্য পর্যাপ্ত তহবিল এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা নিশ্চিত করা।