ক্যারাবিয়ানদের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৮০ রানে জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। এ যেন ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশের শোধ নিলো টাইগাররা। তবে এই ম্যাচে ব্যাটিং পর্বের নায়ক আজ জাকের আলী অনিক। শুধুই কী ৪১ বলে ৭২ রানের ইনিংস দিয়েই তাকে নায়ক বলা হবে– উত্তর না। স্পোর্টসম্যানশিপের যেই উদাহরণ দেখিয়েছেন, তা মানবতার অনন্য নিদর্শন।
১৪ তম ওভারে প্রথম বলে জাকের আলী একটি শট ক্যারিবিয়ান পেসার ওবেড ম্যাকয়ের দিকে ছুটে যায়। বল ধরতে গিয়ে ব্যর্থ হন ম্যাকয় একইসাথে তিনি আহত হয়ে মাটিতে পড়ে যান। তখন ক্রিজে থাকা জাকের ও শামীমের সামনে সুযোগ ছিল দৌড়ে আরও রান নেওয়ার। কিন্তু দ্বিতীয় রান সম্পন্ন করার পরেই জাকের থেমে যান। তিনি লক্ষ্য করেন, ম্যাকয় মাঠে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন।
তার অপরপাশে থাকা শামীমও জাকেরের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে আরও রান নেওয়া থেকে বিরত থাকেন।
জাকের-শামীমের এই অসাধারণ মুহূর্তটি দেখে ধারাভাষ্যকার ইয়ন বিশপ মুগ্ধ হয়ে প্রশংসায় ভাসান বাংলার দুই টাইগারকে।
ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনিং জুটিতে লিটন দাস ও পারভেজ হোসেন ইমনের ব্যাটে ৪৪ রানের দারুণ শুরু পায় বাংলাদেশ। তবে ১৪ করে লিটন দিরে গেলে বেশিক্ষণ থাকেনি ইমনও। ২১ বল খেলে ৩৯ রান করেন এই ব্যাটার। তানজিদ তামিমও অল্প সময়েই ফিরে যান। মেহেদী মিরাজ কিছুটা থিতু হতে চেষ্টা চালালেও ২৩ বল খেলে ২৯ রান ক্রে ফিরে যান।
এরপরের গল্প জাকের আলী অনিকের। শামীম পাটোয়ারী কিংবা শেখ মেহেদীর দুজনই ভুল-বোঝাবোঝিতে রান আউট করে ফিরে যান। যেখানে জাকের আলী আউট হওয়ার কথা থাকলেও আম্পায়ারের সিগন্যালে মাঠে আসেন জাকের, ফিরে গেলেন শামীম পাটোয়ারী। তখন হয়তো কিছুটা অপরাধ বোধও জাকেরর হয়ে থাকবে, তাই ব্যাটিং শেষে জড়িয়ে ধরেন শামীমকে৷ সবশেষে ১৯০ রানের বড় টার্গেট দেয় বাংলাদেশ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে তাসকিনের ওভারে শুরুতেই আউট হন ব্যান্ডন কিং, রানের খাতা শূন্য। বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি জাস্টিনও। কিছুটা সময় থিতু হতে চেয়েছিলেন নিকোলাস পুরান ও জনসন চার্লস। তবে বোলিং ইউনিটের তাণ্ডবে দ্রুতই ফিরে গেলেন। শেষ দিকটায় শেফার্ডের ৩৩ রানের ইনিংস কেবল ব্যবধানই কমিয়েছে।
১০৯ রানে ঘরের মাঠেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অল আউট করে ৮০ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। বল হাতে ৩ উইকেট পায় রিশান হোসেন। আর ২ টি করে উইকেট তুলে নেন তাসকিন এবং এই সিরিজের সেরা শেখ মেহেদী।