সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকা— বাংলাদেশ নামক স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্য এ তিনটি বিষয় সুপ্রতিষ্ঠিত ও সর্বজনবিদিত বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। তিনি বলেন, পৃথিবীর কোনও দেশেই এসব বিষয়ে কোনও বিরোধ ও মতভেদ নেই। তাই এসব বিষয়ে কোনও প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না এবং এ বিষয়ে কোনও আপস নেই।
সোমবার (২৯ মে) রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘বিশ শতকের প্রেক্ষাপটে একাত্তরের গণহত্যা ও বিচার আন্দোলন’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয় ‘১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরের ভবন নির্মাণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পের কার্যক্রম হিসাবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কখনও ভুলে যাওয়া যাবে না। মাত্র ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধে যে পরিমাণ গণহত্যা হয়েছে পৃথিবীর ইতিহাসে তা বিরল।
মুক্তিযুদ্ধকালীন নৃশংসভাবে গণহত্যার বিভিন্ন ঘটনা প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণহত্যার সঠিক ইতিহাস মানুষের সামনে তুলে ধরার ক্ষেত্রে অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন ও শাহরিয়ার কবীরের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। সেজন্য তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ‘৭১ এর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবীর।
সেমিনারে আলোচক হিসাবে ছিলেন ‘১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্ট’-এর সভাপতি ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন ১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরের ভবন নির্মাণ (১ম সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও জাতীয় জাদুঘরের সচিব (যুগ্ম-সচিব) গাজী মো. ওয়ালি-উল-হক।