বঙ্গবন্ধু হত্যার অন্যতম প্রধান কুশীলব বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, জিয়া ও তাঁর পরিবার বঙ্গবন্ধু হত্যার সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী। সেই সুবিধাভোগীদের সৃষ্ট উপজাত হচ্ছে আজকের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
সোমবার(১৫ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডিতে সকালে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন হাছান মাহমুদ।
১৯৭৫ সালের এই দিনে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে সপরিবার হত্যা করা হয়েছিল জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে, কিন্তু জিয়াউর রহমানসহ যারা হত্যাকাণ্ডের প্রধান কুশীলব, তাদের বিচার হয়নি। জাতির প্রত্যাশা হচ্ছে, একটি কমিশন গঠনের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানসহ যারা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রধান কুশীলব, তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জানার জন্য তাদের মুখোশ উন্মোচন করা।
তিনি বলেন, সেই লক্ষ্যে এবং বঙ্গবন্ধুর যেসব খুনি বিদেশে পালিয়ে আছে, তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর করার জন্য সরকার কাজ করছে।
এদিন দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় শোক দিবসের আরেকটি আলোচনা সভায় অংশ নেন তথ্যমন্ত্রী। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাংবাদিক ফোরাম এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
হাছান মাহমুদ এ সময় বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি টানা সাড়ে ১৩ বছর ধরে দেশ পরিচালনা করছে। এ কারণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী ও দেশবিরোধী অপশক্তিরা অধৈর্য হয়ে পড়েছে। তাই নানা ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা হচ্ছে।
এ সময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহানুভব বলেই আন্দোলনকারীদের (বিএনপি) বাধা দিতে বা গ্রেপ্তার করতে নিষেধ করেছেন।
তিনি বলেন, আমরা আগেও কোনো শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বাধা দিইনি। কিন্তু আন্দোলনের নামে যদি ভাঙচুর, অগ্নিবোমা, অগ্নিসংযোগ ও জনগণের শান্তি নষ্টের অপচেষ্টা চালানো হয়, তাহলে জানমাল ও দেশের সম্পত্তি রক্ষার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়া জন্মতারিখ বদলে ১৫ আগস্ট পালনের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করেছেন তাঁর স্বামী জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রধান কুশীলব। সেটির সঙ্গে তিনিও যে মানসিকভাবে যুক্ত ছিলেন, তা–ও প্রকারান্তরে স্বীকার করে নিয়েছেন খালেদা জিয়া।