আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কেন্দ্রগুলোতে সিসি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা ইসির নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।
রোববার (০৬ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা জানান।
আগামী নির্বাচনে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি আলমগীর বলেন, এ বিষয় নিয়ে আমাদের মধ্যে ফরমাল আলোচনা হয়নি, চিন্তাভাবনাও নেই। জাতীয় নির্বাচনে হয়তো অনেক কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ থাকবে। এতগুলো কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে তা দেখা কঠিন। আমরা সেক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে বিশেষ ব্যবস্থা হিসেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেশি সদস্য নিয়োগ করব।
তিনি বলেন, সবগুলো রাজনৈতিক দল যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, সেখানে এমনিতেই একটা ভারসাম্য থাকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেয়ে তারাই (রাজনৈতিক দলগুলো) শৃঙ্খলা রক্ষার একটি ভূমিকা নেয়। কারণ তারা জানেন যে, নির্বাচনে যদি কোনো পরিস্থিতির অবনতি হয় বা ভুল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তাহলে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ ব্যালটে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এবারও নির্বাচন ব্যালটেই হবে। আগেও যেভাবে এগুলো হয়েছে, এবারও সেভাবেই হবে। ব্যালটে নির্বাচনে যাতে কোনোরকম অপব্যবহার না হতে পারে সেজন্য আমাদের কিছু কৌশল আছে, সেগুলো আমরা প্রয়োগ করার চেষ্টা করব। তার মধ্যে যেমন একটা, আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর নির্বাচনের দিন সকালে ব্যালট পেপার পাঠাই। তবে যদি যোগাযোগ ব্যবস্থা দিক থেকে বাজে অবস্থা না থাকে বা উন্নত না হয়, সেক্ষেত্রে একটু আগে পাঠাই। যোগাযোগ যেখানে ভালো, ভোট ৮টায় শুরু করলে ভোট শুরু হওয়ার আগেই যেখানে পৌঁছাতে পারবে সেসব কেন্দ্রে আমরা সকালে ব্যালট পাঠাই।
ইসি আলমগীর বলেন, “যতগুলো নির্বাচন ব্যালটে করেছি, ব্যালট এভাবেই সকালে পাঠানো হয়েছে। আমরা জাতীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রেও এ ধরনের সিদ্ধান্ত হয়ত নিতে পারি। যেগুলোতে সকালে ব্যালট পেপার পাঠানো সম্ভব সেগুলো চিহ্নিত করা এবং যেখানে পাঠানো সম্ভব নয়, সেখানে আমরা বিশেষ ব্যবস্থায় রাতে ব্যালট পেপার পাঠাব। পথে যেন মিসইউজ বা ছিনতাই না হতে পারে, সেটাও খেয়াল রাখব।”
দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক নিয়ে ইসির ওপর কোনো চাপ আছে কিনা- জানতে চাইলে মো. আলমগীর বলেন, এ বিষয়ে কোনো চাপ নেই। থাকবে কেন? আমরা প্রথম থেকেই বলছি যত খুশি বিদেশি পর্যবেক্ষক আসতে পারেন। আমাদের পক্ষ থেকে কোনো লিমিটেশন নেই।
বিদেশি পর্যবেক্ষক আসার প্রক্রিয়া সরকারের ওপর নির্ভরশীল জানিয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, কোনো বিদেশি পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে চেয়ে আবেদন করলে সেটা পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিই। তারা সেটা পর্যালোচনা করে দেখেন যে আবেদনকারীরা আসলেই পর্যবেক্ষক কিনা, অতীতে পর্যবেক্ষণে সম্পৃক্ত ছিল কিনা। অনেক সময় তারা (পর্যবেক্ষকের জন্য আবেদনকারী) মানবপাচারের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারে অথবা অন্য অন্যায় কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারে, সেগুলো স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেখে থাকে। এরপর ভিসা দেওয়া হলে আমাদের তরফ থেকে কোনো আপত্তি থাকে না।