পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের ৩ নম্বর ফটকে যুবদল নেতা কর্তৃক ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদ ও সারাদেশে অব্যাহত চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১১ জুলাই) রাত দশটার দিকে ’সন্ত্রাসবিরোধী ঐক্য’ ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে মিছিলটি শুরু বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
এসময় মিছিলে শিক্ষার্থীদের ‘বিএনপির অনেক গুন, নয়মাসে দেড়শ খুন’; যুবদলের অনেক গুন, ‘পাথর দিয়ে মানুষ খুন’; ’যুবদল খুন করে, তারেক কি করে’; যেই হাত চাঁদা তুলে, সেই হাত ভেঙে দাও’সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এসময় ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী নাদিয়া রহমান অন্বেষা বলেন, ‘জুলাইয়ের পর থেকে আমরা স্বপ্ন দেখেছিলাম নতুন বাংলাদেশের। সারাদেশে বিএনপির চাঁদাবাজিতে মানুষ খুন হচ্ছে, ৪৮ ঘন্টা আগে একজন ব্যবসায়ীকে খুন করা হলো।
চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে একজন ব্যবসায়ীকে হত্যা করে ক্ষমতায় হয়ত বিএনপি আসতে পারবে কিন্তু এধরনের ঘটনা ঘটতে থাকলে তাদের পথের কাঁটা হিসেবে আবার ছাত্রজনতা রাজপথে নেমে আসতে বাধ্য হবে।’
তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, ‘আমরা একটি প্রবাদ শুনতে পাই ’যে যায় লঙ্কায় সে হয় রাবণ’। কিন্তু বিএনপি লঙ্কায় যাবার আগেই রাবণ হয়ে গেছে। বিএনপি একটি পানির বোতল বিতরণ করলেও লিখে দেয় তারেক রহমানের নির্দেশে দেওয়া হচ্ছে, তাহলে কি আমরা ধরে নিবো মিটফোর্ডে এই খুন তারেক রহমানের নির্দেশে হচ্ছে?
তিনি বলেন, আমরা বিএনপিকে বলতে চাই, আপনাদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ফ্যাসিবাদী বিরোধী আন্দোলন করেছি কিন্তু সারাদেশে যে চাঁদাবাজি খুন এবং হত্যা হচ্ছে তা বন্ধ করুন। যদি সারাদেশের এই নৃশংসতা বন্ধ করতে না পারেন, তাহলে ছাত্রসমাজকে সাথে নিয়ে আপনাদের বিরুদ্ধে রাজপথে নামতে বাধ্য হবো’।