জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) চলমান লাইব্রেরীর কাজে ব্যবহৃত ’এক্সকেভেটর ’এনে শহিদ রফিক জব্বার হলের সামনে পুকুর খনন করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছেন বলে অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ঠজনদের।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার শেখ রাসেল হল ও শহিদ রফিক জব্বার হল সংলগ্ন রাস্তার উপর নির্মিত দেয়াল অপসারণকে কেন্দ্র করে দুই হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় দুই হলের রুম ভাংচুরসহ পেট্রোলবোমা নিক্ষেপর ঘটনা ঘটে।এ ঘটনার জেরে আজ বুধবার সকাল দশটার দিকে লাইব্রেরীর কাজে ব্যবহৃত এক্সকেভেটর দিয়ে ওই দেয়ালের সামনে পুকুর খনন করা হয়।
লাইব্রেরীর মতো চলমান একটি প্রকল্পে ব্যবহৃত এক্সকেভেটর নিয়ে পুকুর খননের মতো ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।
দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, ‘ক্যাম্পাসে মারামারি হচ্ছে, ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটছে অথচ প্রশাসন নিরব। প্রকল্পের কাজ বন্ধ রেখে এক্সকেভেটর নিয়ে যাওয়া হলো, কারা নিয়ে গেল এ বিষয়ে তাদের কোন মাথাব্যথা নেই। আমরা আগে থেকেই বলে আসছি মাস্টারপ্ল্যান ছাড়া একসাথে এতো গুলো শিক্ষার্থী থাকলে সংঘর্ষের মতো ঘটনা ঘটবে। পরিকল্পনাহীন ভাবে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কুফল ঘটতে শুরু করেছে। ক্যাম্পাসে চলমান এমন অস্থীতিশীল পরিস্থিতি প্রশাসনের অস্তিত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে’।
শহীদ রফিক জব্বার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শাহেদ রানা বলেন, ’কারা এক্সেভেটর নিয়ে এসেছে আমি এ বিষয়ে অবগত নই। পুরো ঘটনার উপর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে এবিষয়ে বলতে পারবো।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম বলেন, ’আমরা দুই হলকে শান্ত থাকার নির্দেশ দিয়েছি। এঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছি, তদন্ত শেষে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’