পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে নির্বাচনী সংস্থা ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) অবমাননার মামলায় জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। মঙ্গলবার (১১ জুলাই) একই মামলায় পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) এই চেয়ারম্যান ছাড়াও দেশটির সাবেক তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরীর বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
এর আগে, নির্বাচনী সংস্থা ও সিইসিকে অবমাননার মামলায় পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান এবং তার সাবেক ঘনিষ্ঠ রাজনীতিকদের তলব করা হলেও ইসিপিতে হাজির হননি তারা। পরে দেশটির নির্বাচন কমিশনের চার সদস্যের একটি বেঞ্চ ইমরান খান ও অন্যদের বিরুদ্ধে এই আদেশ দেন।
গত বছর দেশটির নির্বাচন কমিশন ও সিইসির বিরুদ্ধে অশালীন ভাষা ব্যবহারের অভিযোগে পিটিআই প্রধানসহ দলটির সাবেক মহাসচিব আসাদ উমর ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফাওয়াদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ইসিপি।
পরে ইসিপি সদস্য নিসার দুররানির নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনের বেঞ্চে হাজির হয়ে ইমরান খান ও অন্যদের অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য কয়েক দফায় নোটিশ পাঠানো হয়। কিন্তু পিটিআই নেতারা ইসিপির বেঞ্চে হাজির হননি। এর পরিবর্তে দেশটির উচ্চ আদালতে নির্বাচন আইন-২০১৭ এর ১০ ধারার আওতায় ইসিপির অবমাননার মামলা দায়েরের ক্ষমতা চ্যালেঞ্জ করেন পিটিআই নেতারা।
চলতি বছরের শুরুর দিকে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন ইমরান খান ও পিটিআইয়ের অন্যান্য নেতাদের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ইসিপিকে অনুমোদন দেয়। পরে গত ২১ জুন নির্বাচন কমিশন ও সিইসিকে অবমাননার মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলার কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন পেলেও ইসিপিকে চূড়ান্ত রায় ঘোষণার ক্ষমতা দেয়নি দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
কয়েক দফায় নোটিশ পাঠানো হলেও নির্বাচন কমিশনের গঠিত বিচারিক বেঞ্চের শুনানিতে ইমরান খান ও তার দলের নেতারা হাজির হননি। একইভাবে মঙ্গলবারের শুনানিতেও ইমরান খান, ফাওয়াদ চৌধুরী ও আসাদ উমরের কেউই ইসিপিতে উপস্থিত হননি। পরে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে এই মামলার কার্যক্রম আগামী ২৫ জুলাই পর্যন্ত মূলতবি ঘোষণা করেছে ইসিপি।