ছাত্র অধিকার পরিষদের ২৪ জন নেতা-কর্মীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের তিনবছর পার হওয়ার প্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত স্মরণসভায় ছাত্রলীগের হামলা ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারামারির ঘটনায় ছাত্রলীগ পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে।
মঙ্গলবার(১১ অক্টোবর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে ম্যাজিস্ট্রেট মাহাবুব আহমেদ এ আদেশ দেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক নিজাম উদ্দিন ফকির গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার জামিনের পক্ষে আদালতে যুক্তি তুলে ধরেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করে আদালতে যুক্তি তুলে ধরা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের জামিন আবেদন নাকচ করেন।
এর আগে গত শনিবার শাহবাগ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে ছাত্র অধিকার পরিষদের ২৪ জন নেতা-কর্মীকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত শুক্রবার বিকেলে ‘আবরার ফাহাদ স্মৃতি সংসদ’-এর ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যার তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে ছাত্র অধিকার পরিষদ আয়োজিত স্মরণসভায় ছাত্রলীগ হামলা করে। এ সময় তাঁদের ধাওয়া দিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়। হামলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের অন্তত ১৫ জন নেতা-কর্মী আহত হন।
আহত পরিষদের নেতা-কর্মীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে সেখানে গিয়েও তাঁদের মারধর করেন ছাত্রলীগ।
এদিন মেডিকেল থেকে পরিষদের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে আটক করে শাহবাগ থানার পুলিশ। ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের নামে মামলা দুটি করেন ছাত্রলীগের দুই নেতা।
গত শনিবার সকালে দুই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ছাত্র অধিকার পরিষদের আটক নেতা-কর্মীদের আদালতে পাঠায় শাহবাগ থানার পুলিশ।
ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন ও আমিনুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারামারির ঘটনায় ছাত্র অধিকার পরিষদের ২৫ জন নেতা-কর্মী ও অজ্ঞাতনামা ১৪০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করে শাহবাগ থানায় দুটি পৃথক মামলা করেন।
গত শনিবার গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হকের নেতৃত্বে পল্টন থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত অভিমুখে একটি মিছিল হয়। ছাত্র অধিকার পরিষদের গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবি জানিয়ে গণ অধিকারের নেতা নুরুল হক সেখানে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, নেতা–কর্মীদের মুক্তি দেওয়া না হলে তাঁরা স্বেচ্ছায় কারাবরণ করবেন।