মেহেদী হাসান, জাবি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে আজ। ভর্তি পরীক্ষায় প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের ফলে ক্যাম্পাসে ফিরেছে শৃঙ্খলা, ফলে স্বস্তিতে ভর্তি পরীক্ষা দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
অন্যদিকে পরীক্ষার আবেদনে বিষয়ভিত্তিক গ্রেড বাড়ানোর কারণে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমেছে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ফলে এবছরের ভর্তি পরীক্ষায় দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র।
সরেজমিনে দেখা যায়, পরীক্ষা চলার সময় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ছাড়া অন্য কোন রিকশা চলাচল করতে দেখা যায়নি। ছাত্রী হল থেকে আসা রিকশাগুলো তারামন বিবি হলের সামনে এসে থামতে দেখা যায়। এছাড়াও ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাস অভ্যন্তরে শিট ও বই বিক্রি নিষিদ্ধ ছিল এবং অস্থায়ী খাবারের দোকানপাট ও ভ্রাম্যমাণ ফেরিওয়ালা দের তেমন দেখা যায়নি।
পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক রাখতে ভর্তি পরীক্ষা শৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তা কমিটির প্রস্তুতি লক্ষ্য করা যায়।এছাড়াও পরীক্ষা চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থান সমূহে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা (সিসিটিভি) চালু রাখা হয়েছিল।
এছাড়াও গত বছরের তুলনায় এবার ভর্তি পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী সংখ্যা কমেছে ২১ শতাংশ। গতবছর ভর্তি পরীক্ষায় একই সংখ্যক আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছিল ২ লাখ ৪৯ হাজার ৮৫৭ টি। এবার আবেদন জমা পড়েছে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৮৫১টি। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ২১ শতাংশ কম। গত বছর আসন প্রতি প্রতিযোগী ছিল ১৩৪ জন। যা এবার কমে হয়েছে ১০৮ জনে।
মানিকগঞ্জ থেকে পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থী রবিউল হাসান বলেন, ফাস্ট টাইমে পছন্দের সাবজেক্ট না আসায় আমি দ্বিতীয়বারের মতো ভর্তি পরীক্ষা দিচ্ছি। গত বছর এখানে শিট বিক্রেতাদের উপস্থিতি আমাদের বিরক্ত করেছিল কিন্তু এবছর শৃঙ্খলা দেখতে পেয়েছি।
সার্বিক বিষয়ে ভর্তি পরীক্ষার শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা কমিটির আহ্বায়ক এবং প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষার সময় ক্যাম্পাসে সর্বোচ্চ শৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা বদ্ধপরিকর। মাঝে মাঝে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যায়। এবার তেমন ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্য আমরা শুরু থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করেছি ।`
এদিকে প্রথম শিফটের পরীক্ষা পরিদর্শন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম বলেন, ‘সুন্দর পরিবেশে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উপস্থিতির হার ৭০-৮০ শতাংশ। আমরা এ বছর ভাসমান কোনো দোকান বসতে দিইনি। সে জন্য ভিড়ও কম আছে। নির্বিঘ্নে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।’