বাংলাদেশে গুমের সংস্কৃতি সাবেক সেনাশাসক জিয়াউর রহমানের হাত ধরে শুরু হয়েছে দাবি করে, ১৯৭৭ সালে প্রহসনের বিচারের নামে হত্যার শিকার হওয়া সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের পরিবার বিচার দাবি করেছেন।
বুধবার (৩০ আগস্ট) জাতীয় জাদুঘরের সমানে আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবসে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানান তারা।
তারা বলেন, ১৯৭৭ সালে একটি জাপানি বিমান ছিনতাইকে কেন্দ্র করে কথিত সেনা অভ্যুত্থানের অভিযোগ আনা হয়। তখনকার প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের তৈরি একদিনের সামরিক আদালতে বিচার করে বিমান ও সেনাবাহিনীর ১,৪০০ সেনাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। রাতে কারফিউ দিয়ে ফাঁসি কার্যকর করা হয় ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, রংপুর, যশোর ও বগুড়া কেন্দ্রীয় কারাগারে।
এ ঘটনায় ফাঁসি হওয়া ১৯৩ জনের নাম-পরিচয় মিললেও প্রকৃত অর্থে মৃতের সংখ্যা ছিল এক হাজার ১৪৩ জন। কারাদণ্ড ভোগ করেছিলেন সেনা ও বিমান বাহিনীর আড়াই হাজার সদস্য। ফাঁসি হওয়া অনেকের স্বজনরা কখনো তাদের মৃত্যুর আনুষ্ঠানিক খবর এমনকি কবরের সন্ধানটাও পায়নি বলেও জানায় বক্তারা।
এ মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বিশিষ্ট নাগরিকগণ বলেছেন, বিদেশি বিভিন্ন রাষ্ট্র ও মানবাধিকার সংস্থা বর্তমান সময়ের অল্পসংখ্যক কিছু গুমের অভিযোগে বিচার চাইলেও ১৯৭৭ সালে এতগুলো মানুষের গুম এবং বিচার ছাড়া হত্যার ঘটনা নিয়ে মুখ খোলে না।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা বলেন, বিচার চাওয়ার মত এবং সাক্ষী দেয়ার মত অনেকেই মারা যাচ্ছেন। দ্রুত এ ঘটনার তদন্ত ও বিচারের প্রত্যাশা করেন তারা।