অবিলম্বে জুলাই সনদ ঘোষণা ও বাস্তবায়ন এবং জুলাই সনদের বিষয়বস্তুতে উল্লেখের জন্য তেরো দফা প্রস্তাবনা পেশ করেছে ইনকিলাব মঞ্চ।
সোমবার (১৬ জুন) দুপুর বারোটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত জুলাই সনদ ঘোষণা ও বাস্তবায়ন এবং জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পূর্বেই গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করার দাবিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রস্তাবনা পেশ করেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদী।
তিনি বলেন, জুলাইয়ের শহিদদের রক্তের ওপর ভিত্তি করে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। সেই শহিদদের আকাঙক্ষা পূরণ করা এই সরকারের নৈতিক দায়িত্ব। কেবল নির্বাচন দেওয়ার জন্য এই সরকার গঠিত হয়নি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে যেসব ডিসিরা রাতের আঁধারে ব্যালট বাক্স ভরে রেখেছিলো তারা এখনো বহাল তবিয়তে আছে। এখন নির্বাচন হলে তারা আবার রিটার্নিং কর্মকর্তা হবে। তারা আবারও টাকা খেয়ে ভোট কারচুপি করবে।
পাশাপাশি, জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পূর্বেই জুলাই গণহত্যার বিচার ও সংরক্ষিত নারী আসনের ক্ষেত্রে প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে সংসদে আসন বরাদ্দের দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জুলাই সনদের বিষয়বস্তুতে ইনকিলাব মঞ্চের তেরো দফা প্রস্তাবনা পাঠ করেন হাদী। প্রস্তাবিত তেরো দফার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো : ১৯৪৭, ১৯৭১ ও ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের শহিদদের রাষ্ট্রের শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসেবে ঘোষণা দেওয়া, বিগত সরকারের সময়ে অনুষ্ঠিত তিন নির্বাচনকে বাতিল ঘোষণা করে সংশ্লিষ্টদের বিচারের আওতায় আনা, ৩৬ জুলাইকে (৫ আগষ্ট) জাতীয় মুক্তি দিবস ঘোষণা করা, জুলাই গণহত্যাসহ বিগত সময়ের সকল গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করা।
এছাড়াও, ইনকিলাব মঞ্চ প্রস্তাবিত তেরো দফার মধ্যে আরো রয়েছে, সংবিধান থেকে জনবিরোধী এবং জুলাই সনদের সাথে সাংঘর্ষিক সকল উপধারা বাতিল করে জুলাই সনদকে সংবিধানভুক্ত করা ও জনসাধারণের বোধগম্য ভাষায় উপস্থাপন এবং তা চুড়ান্ত করার পূর্বে জনগণের মতামত নেওয়ার জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা ইত্যাদি।