পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অভিন্ন ৫৪ নদী থাকলেও শুধু গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি হয়েছে। আসন্ন মন্ত্রী পর্যায়ের বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তিস্তা নদীর পানি বণ্টনের বিষয়ে জোর দেওয়া হবে। পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে করা গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তির মেয়াদ ২০২৬ সালে শেষ হবে। ফলে বৈঠকে নতুন করে এ নদীর পানি বণ্টনের ইস্যুটিও প্রাধান্য পাবে।
রবিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব। আগামী বৃহস্পতিবার প্রায় ১২ বছর পর জেআরসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
সচিব বলেন,এ ছাড়া ফেনী, মুন, মুহুরী, খোয়াই, গোমতী, ধরলা, দুধকুমার নদী নিয়ে আলোচনা হবে ওই বৈঠকে। সেইসঙ্গে নদীর তীর ব্যবস্থাপনা, বন্যার আগাম তথ্যসহ নদী সংক্রান্ত বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের আগেই বৈঠকটি হচ্ছে। তাই বলা চলে ভালো সময়ে হচ্ছে বৈঠকটি।
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, নদী বিষয়ে দুই দেশের অনেক ইস্যু রয়েছে। বৈঠকে ইস্যুগুলো আলোচিত হোক। কিছু কিছু ইস্যু যদি সমাধান করা যায়, যেমন- কুশিয়ারার সম্পর্কে আমরা জানি যে, এটি সমাধানের সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ও ভারত দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় দীর্ঘসূত্রিতার ফল ভোগ করছে
তিস্তার দুই পারের মানুষেরা। একদিকে শুষ্ক মৌসুমে পানিসংকট অন্যদিকে বর্ষায় প্রবল বন্যায় ভাসছে।
২০১১ সালে জেআরসি বৈঠকটি হওয়ার দিনতারিখ ঠিকঠাক থাকলেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তির কারণে সেটি অনেকটাই বানচাল হয়ে যায়৷
সেই বৈঠক ঘিরে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির খসড়া ২০১১ সালে চূড়ান্ত করা হয়। খসড়া মোতাবেক, তিস্তার পানি উভয় দেশে সমানভাবে পাবে। ২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মনমোহন সিংয়ে সফরে চুক্তিটি হওয়ার কথা ছিল। তবে আর সই হয়নি।
আগামী ৬ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দেশটিতে সফরের কথা রয়েছে। সর্বশেষ ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে গিয়েছিলেন।