পূর্ব জেরুজালেমের সিনাগগের বাইরে এক ফিলিস্তিনি বন্দুকধারীর গুলিতে শুক্রবার রাতে ৭০ বছর বয়সী এক নারীসহ সাতজন নিহত ও তিনজন আহত হন। বিষয়টি সরকারি কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। এটি কয়েক বছরের মধ্যে ইসরায়েলিদের ওপর সবচেয়ে মারাত্মক হামলা এবং এর ফলে, আরও রক্তপাতের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলেছে।
পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর অভিযানে ৯ জন নিহত হওয়ার একদিন পর বাসিন্দারা যখন ইহুদিদের ছুটির দিন পালন করছিলেন, তখন এই হামলার ঘটনা ঘটে।
গাজা থেকে রকেট হামলা এবং প্রতিশোধমূলক ইসরায়েলি বিমান হামলাসহ সহিংসতার বিস্ফোরণ ইসরায়েলের নতুন সরকারের জন্য একটি প্রাথমিক চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে, যেখানে উগ্র জাতীয়তাবাদীদের আধিপত্য রয়েছে যারা ফিলিস্তিনি সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর লাইনের জন্য চাপ দিয়েছে। রবিবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের ওই অঞ্চল সফর নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
ইসরায়েলের জাতীয় পুলিশ সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, তিনি নিরাপত্তা মূল্যায়ন করেছেন এবং তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি বলেন, ছুটির দিন শেষ হওয়ার পর শনিবার রাতে তিনি তার নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার বৈঠক করবেন।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জঁ-পিয়েরে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং প্রাণহানির ঘটনায় মর্মাহত ও শোকাহত।
ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, নেভ ইয়াকভ নামক একটি এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে, যেখানে অতি-অর্থোডক্স জনগোষ্ঠী রয়ে গেছে এবং বন্দুকধারী একটি গাড়িতে করে পালিয়ে গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা তাকে ধাওয়া করে এবং পাল্টা গুলি নিক্ষেপে তাকে হত্যা করে।
জেরুজালেমের পুলিশ প্রধান ডোরন তুরজেমান বন্দুকধারী ছাড়াও সাতজন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং তিনজন আহত হওয়ার বিষয়টিও জানিয়েছে।
পুলিশ হামলাকারীকে পূর্ব জেরুজালেমের বাসিন্দা ২১ বছর বয়সী বলে শনাক্ত করেছে। তুরজেমান তাকে সাহায্যকারী যে কাউকে খুঁজে বের করার উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।