ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে স্বৈরশাসক আখ্যা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি নিয়ে রাশিয়া ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা শুরুর পরেই ট্রাম্পের এমন মন্তব্যে ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে বলেন, ‘‘স্বৈরশাসক জেলেনস্কির দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, নয়তো তার দেশের কিছুই থাকবে না।’’
ট্রাম্প আরও বলেন, ইউক্রেনীয় নেতা জেলেনস্কির পাঁচ বছরের মেয়াদ গত বছর শেষ হয়ে গেছে এবং তার পর থেকে নির্বাচনের সম্ভাবনা নেই। এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে জেলেনস্কি দাবি করেছিলেন, ট্রাম্প মস্কোর ফাঁদে পড়ে গেছেন, এমন মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হন ট্রাম্প।
এছাড়া, ট্রাম্প ৫০০ বিলিয়ন ডলারের খনিজ সম্পদের মালিকানা নিয়ে জেলেনস্কির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের বিষয়েও বিরোধিতা করেছেন, যার ফলে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়।
এদিকে, ট্রাম্প জেলেনস্কিকে সমালোচনা করে বলেন, ‘‘জেলেনস্কি একটাই কাজ ভালো করেন, সেটা হলো বাইডেনের সঙ্গে এক সুরে কথা বলা।’’
এ ঘটনায় ইউরোপীয় নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ বলেন, ‘‘জেলেনস্কির গণতান্ত্রিক বৈধতা অস্বীকার করা ভুল এবং বিপজ্জনক।’’ ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী স্যার কেয়ার স্টারমার ইউক্রেনের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির প্রতি তার সমর্থন প্রকাশ করেছেন।
যুক্তরাজ্যের ডাউনিং স্ট্রিটের একজন মুখপাত্রও জানান, ‘‘যুদ্ধকালীন সময়ে ইউক্রেনের নির্বাচন স্থগিত করা পুরোপুরি যুক্তিসঙ্গত।’’
ট্রাম্পের ‘‘স্বৈরশাসক’’ মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন এবং জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়রবক।
এদিকে, ইউক্রেন ও রাশিয়ার বিষয়ে মার্কিন দূত কিথ কেলগ বৃহস্পতিবার কিয়েভে গিয়ে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তিনি বুধবার ইউক্রেনের সেনাপ্রধানসহ অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।