নির্বাচনের নামে চারদিকে চলছে রঙ-তামাশা। নৌকা-ডামির কামড়া-কামড়ি, গোলাগুলি, সংঘাত- সহিংসতায় জনপদগুলো বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, জোর করে মানুষকে মিছিলে নেওয়া হচ্ছে। সবখানে চলছে ত্রাসের রাজত্ব।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকারি কর্মকর্তারাও নৌকার পক্ষে ভোট চেয়ে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী-ডামি মিছিল বের হচ্ছে।
বিরোধীদলহীন পূর্বনির্ধারিত ফলাফলের এ নির্বাচনে ভোটারদের ন্যূনতম আগ্রহ নেই।
তিনি বলেন, তবুও গণতান্ত্রিক বিশ্বকে তথাকথিত ভোটের উৎসব দেখানোর জন্য অত্যাচার-নিপীড়ন থেকে কারো রেহাই নেই। সাধারণ মানুষকে জোর করে মিছিলে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে। না গেলে এলাকা ছাড়া করার ভয় দেখানো হচ্ছে।
চলমান দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, এই পাতানো নির্বাচনে কেউ ভোট দিবেন না।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি আগুন সন্ত্রাসও সরকারের লোকজনের পরিকল্পিত ও পাতানো নাটক। এ পর্যন্ত যারা ধরা পড়েছে, তাদের অনেকে সরকারি দলের লোকজন। আগুন সন্ত্রাস আওয়ামী লীগের মজ্জাগত। বিএনপি সহিংসতা ঘৃণা করে।
এ সময় সারাদেশে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-মামলা ও গ্রেপ্তারের তথ্য তুলে ধরে রিজভী বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ১৭৫ জনেরও বেশি বিএনপির নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে। ৪ মামলায় আসামি করা হয়েছে অন্তত ৩৬৫ জনকে। এ সময়ে আহত হয়েছে ২০ জন, নিহত হয়েছেন একজন।