দেশে জ্বালানি তেলের রেকর্ড পরিমাণ দাম বাড়িয়ে সরকার ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। জনস্বার্থের কথা বিবেচনা করে সরকারের উচিত ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়া বলেই জানিয়েছে সিপিবি৷
শনিবার(৬ আগস্ট) রাজধানীর পল্টনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন (প্রিন্স) ঘোষণা দিয়েছেন জ্বালানির বর্ধিত দাম প্রত্যাহার না করলে জেলা-উপজেলায় ঘেরাও, অবরোধ এবং প্রয়োজনে হরতালের মতো কর্মসূচি দেওয়া হবে।
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিকেলে রাজধানীর পল্টন মোড়ে এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সিপিবি নেতা রুহিন হোসেন বলেন, ডিজেল, কেরোসিনসহ জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি সরকারের অপরাধমূলক কাজ। তেলের দাম বাড়লে যাতায়াতসহ সবকিছুর দাম বাড়বে। এতে অর্থনীতিতে চাপ পড়বে। বিপর্যস্ত হবে জনজীবন।
সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, আওয়ামী লীগ সিন্ডিকেট ও লুটেরাদের সরকার। ৬২ শতাংশ সংসদ সদস্য ব্যবসায়ী। তাঁরা নিজ নিজ শ্রেণিস্বার্থ ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থে দেশ পরিচালনা করছেন। এই সরকার জনগণের পেটে লাথি মারছে। বাজার অর্থনীতির বিপরীতে জনগণের অর্থনীতিতে দেশ পরিচালনা করা না গেলে দেশের অবস্থা আরও শোচনীয় হবে।
সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এম এম আকাশ বলেন, বাংলাদেশে টাকার এখনো গুরুতর সংকট হয়নি। লুটেরা ও পাচারকারীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে দেশ পরিচালনা করুন বলেই সরকারকে পরামর্শ দেন অর্থনীতির এই অধ্যাপক। আইএমএফের কাছ থেকে ধার করে দেশকে বিপদে ফেলার কোনো নৈতিক অধিকার আপনাদের নেই।
এ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সিপিবির সহসাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, কেন্দ্রীয় সদস্য সাজ্জাদ জহির চন্দন প্রমুখ। প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে পুরানা পল্টন থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশ থেকে জ্বালানি তেল ও সারের দাম না কমানো পর্যন্ত সারা দেশে সভা-সমাবেশ ও বিক্ষোভ অব্যাহত রেখে অবরোধ ও হরতালের জন্য লোকজনকে সংগঠিত করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়। একই দাবিতে আজ সারা দেশের অন্তত ২৫টি জেলায় সিপিবির নেতা–কর্মীরা বিক্ষোভ করেন।