ঝিনাইদহে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যকার সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি হামলায় উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
সোমবার(৭ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংর্ষের সময় দুটি দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে। পরে পুলিশ এসে ছত্রভঙ্গ করে দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
স্থানীয়রা সূত্রে জানা যায়, ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বিএনপির কর্মসূচি ঘিরে আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে দলটির নেতা-কর্মীরা ঝিনাইদহের প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হতে থাকেন। অপর দিকে শহরের পায়রা চত্বর থেকে মুক্তিযোদ্ধা হত্যা দিবস উপলক্ষে একটি মিছিল বের করে ছাত্রলীগ।
বিএনপি ও ছাত্রলীগের দুটি মিছিল নিয়ে
পৌরসভা এলাকায় মুখোমুখি হলে পাল্টাপাল্টি হামলা ও সংঘর্ষ হয়। এরপরেই ছাত্রলীগের সঙ্গে যুবলীগের নেতা-কর্মীরাও যোগ দেন।
এ সময় দেশীয় অস্ত্র ইটপাটকেল ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েক দফা লাঠিপেটা করে তাঁদের ছত্র ভঙ্গ করে দেয়। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে হাসপাতালে কাউকে ভর্তি করা হয়নি।
জেলা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কোনো আহতের ঘটনা ঘটেনি। এ পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আসেনি। এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদ অভিযোগ তুলেন, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অতর্কিত তাঁদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা করেন। পরে বিএনপি নেতা-কর্মীরা তা প্রতিহত করেছেন। এতে তাঁদের কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এদিকে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আশফাক মাহমুদ বলেন, বিএনপি নেতা-কর্মীরা তাঁদের ওপর হামলা করেছেন। এতে তাঁদের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।