কুষ্টিয়া থেকে নারায়ণঞ্জগামী ঈগল এক্সপ্রেস পরিবহনের বাসে ডাকাতি ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার মূল হোতাসহ ১০ ডাকাতকে আটক করেছে র্যাব। ঢাকা, গাজীপুর ও চট্টগ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার সংবাদ সম্মেলনে ডাকাত চক্রের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানাবে র্যাব
র্যাব জানায়, ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী রতন হোসেন। এর আগে পুলিশ এই ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেফতার করে। তারা হলেন- রাজা মিয়া, আবদুল আওয়াল ও নুরনবী। তারা তিনজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গত মঙ্গলবার রাতে ঈগল এক্সপ্রেসের একটি বাস কুষ্টিয়ার ৩০-৩৫ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জের একটি খাবার হোটেলে যাত্রাবিরতি নেয়। সেখান থেকে যাত্রা শুরুর পর তিন দফায় যাত্রীবেশে ১০-১২ জন ডাকাত বাসে ওঠেন।
এরপর তারা তিন ঘণ্টা বাসের ভেতর নারকীয় তাণ্ডব চালান। যাত্রীদের হাত-পা ও চোখ বেঁধে মারধর এবং লুটপাটের পর এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে তারা। পরে ডাকাত দল বাসটি ঘুরিয়ে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া জামে মসজিদের সামনে ফেলে রেখে নেমে যায়।