পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, মহেশখালী ট্রলারে যে ১০ জনের হত্যাকাণ্ড ঘটেছে- যাই হোক না কেন ১০টি প্রাণহানি তো হয়েছে। ঘটনাটি আমি শোনার পর আমি ডিআইজিকে দ্রুত তদন্ত করতে বলেছি। সিআইডি টিম পাঠিয়েছি। এই ঘটনায় সব ডিপার্টমেন্ট গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে।
বুধবার (৩ মে) বিকাল ৩টার দিকে কক্সবাজার জেলা পুলিশ কার্যালয় প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়কালে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার পুলিশ সুপার ছাড়াও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্বরত এপিবিএন-এর তিন ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজিরা।
তিনি বলেন, এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আসামি ধরা পড়েছে। তারা ১৪৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। তদন্ত চলছে। আমরা আশা করছি, এই তদন্তে ভালো কিছু আসবে।
সাম্প্রতিক সময়ে টেকনাফ অপহরণের বিষয়ে পুলিশপ্রধান বলেন, ঘটনা ঘটলে সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। এই ঘটনায় তদন্তে আমাদের বেশ সফলতাও এসেছে। এই ঘটনাগুলো যারা ঘটাচ্ছেন, তাদের চিহ্নিতের কাজ চলছে। এই ঘটনায় যে জড়িত থাকুক না কেন কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এ জন্য সবাইকে অনুরোধ করবো, প্রয়োজনে জরুরি সেবা ৯৯৯ মাধ্যমে আমাদের জানান। জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ বিষয়ে যে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন- এর আলোকে আমরা কাজ করছি।
তিনি জানান, যদি কোনও অপরাধী ভালো পথে ফেরত আসতে চায়, তাহলে তাকে অবশ্যই সুযোগ দেওয়া হবে। এ কারণে আমরা দস্যুমুক্ত সুন্দরবন ঘোষণা করতে পেরেছি। যেসব জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেছে, তাদের মধ্যে কেউ অপরাধে জড়াচ্ছে কি না আমরা দৃষ্টি রেখেছি।
মাদকের বিরুদ্ধে সারা দেশে অভিযান অব্যাহত রয়েছে উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, একই সঙ্গে সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। সবাই মিলে দেশে ভালো কাজগুলো করছি। অপরাধ যেখানে সংগঠিত হচ্ছে সেখানে পুলিশ পৌঁছে যাচ্ছে। অপরাধ করে কেউ ছাড় পাবে না। যে যত বড় অপরাধী হোক না কেন পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে।
অপরাধী শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া নিয়ে আইজিপি বলেন, বিভিন্ন কৌশলে প্রথমে অপরাধীদের তালিকা করি। অপরাধের প্রমাণ পেলে তাদের সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা হচ্ছে। কোনও ঘটনা সংগঠিত হলে কাউকে আমরা ছাড় দিচ্ছি না। অপরাধী যে হোক তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, যে আইনশৃঙ্খলার স্বাভাবিক গতি ভঙ্গ করার চেষ্টা করবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।