17 C
Dhaka
Thursday, December 19, 2024

ট্রান্সজেন্ডার কোটা বাতিল চান ঢাবি শিক্ষার্থীরা

- Advertisement -

মো. জাফর আলী,ঢাবি সংবাদদাতা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষায় ট্রান্সজেন্ডার কোটা বাতিল করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংশোধিত ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশসহ চার দফা দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের’ ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর একই দাবিতে উপাচার্য বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

মানববন্ধনে পেশকৃত শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবিগুলো হলো- অনতিবিলম্বে ভর্তি পরীক্ষায় ট্রান্সজেন্ডার কোটা বাতিল করা; অতি দ্রুত এই ভর্তি বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা; হিজরা জনগোষ্ঠীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বিঘ্নে পড়াশোনার পরিবেশ সৃষ্টির জন্য পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নেওয়া এবং ট্রান্সজেন্ডার পরিচয়ধারীদের কোটা ব্যবস্থায় আনার মাধ্যমে ট্রান্সজেন্ডার মতবাদকে প্রমোট করে আইন এবং সংবিধান বিরোধী কাজ করায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ক্ষমা চাওয়া প্রভৃতি।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের দাবি, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী যারা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী তাদেরকে কোটার মাধ্যমে উচ্চশিক্ষার সুযোগ দিতে হবে। সেদিক থেকে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী কোটার সুযোগ পাবে এবং তাদেরকে সুযোগ দেওয়া উচিত। কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তিতে কোটার ক্ষেত্রে উল্লেখ রয়েছে, তৃতীয় লিঙ্গ অথবা ট্রান্সজেন্ডার জনগোষ্ঠীর জন্য প্রযোজ্য।

তারা আরও জানান, নিজেদেরকে ট্রান্সজেন্ডার দাবি করা শিক্ষার্থীরা স্বেচ্ছায় নিজেদেরকে বিকৃত করে লিঙ্গ পরিবর্তন করায় পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত নয়। যারকারণে, তাদের জন্য কোটা প্রযোজ্য নয়। এজন্যই, ভর্তি বিজ্ঞপ্তি সংশোধন করে এই কোটা বাতিলের দাবি শিক্ষার্থীদের।

কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শাখাওয়াত জাকারিয়া বলেন, সংবিধানের ২৮ অনুচ্ছেদের চার দফা অনুযায়ী যারা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী তাদেরকে জন্য বিশেষ কোটার ব্যবস্থা করা যায়। আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজড়াদের জন্য কোটা রয়েছে, ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর জন্যও কোটা রয়েছে। সমাজে তারাই কোটা দাবি করতে পারে, যারা সমাজে অনগ্রসর গোষ্ঠী।

তিনি বলেন, যারা স্বেচ্ছায় নিজেদেরকে বিকৃত করে অনগ্রসর সোসাইটিতে পরিনত করে, তাদেরকে কখনোই আমরা এই সাংবিধানিক সুযোগ নিতে দিবো না। ট্রান্সজেন্ডার কালচার এলজিবিটি এর অন্তর্ভুক্ত। অতএব, ট্রান্সজেন্ডারকে কোটা দেওয়া মানে এলজিবিটি কালচারকেই প্রমোট করা বা এর প্রচার প্রসারেরই নামান্তর।

জাকারিয়া আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান-সন্ততির জন্য কোটা রয়েছে। এখানে এর সাথে যদি ট্রান্সজেন্ডার কোটাকে স্থান দেওয়া হয়, তাহলে এটা মুক্তিযুদ্ধাদের রক্তের সাথে এবং সত্যিকার অর্থেই যারা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী তাদের সাথে বেঈমানী বা তাদের অধিকার সংকুচিত করারই নামান্তর। আমরা দেখতে পাচ্ছি, ট্রান্স কালচারের উৎপত্তি যে দেশে স্বয়ং সেই পশ্চিমা দেশগুলোতেই ক্ষোভের দানা বেঁধেছে। এরই প্রেক্ষিতে রাশিয়া আইন করে এলজিবিটিকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। সম্প্রতি আইসিসিও পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, মানুষ নারী-পুরুষের বাইরে যে কোনো জেন্ডার হতে পারে না, এটা কমন সেন্সের বিষয়। কিন্তু, অত্যন্ত দু:খের বিষয় হলো যে, আমাদের সমাজের কিছু মানুষের সেই কমন সেন্সের ধারণাটুকুও নেই। যার কারণে, আমরা দেখছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রান্সজেন্ডারকে কোটা দিয়ে তাদেরকে প্রমোট করা হচ্ছে। আমরা বলতে চাই, ট্রান্সজেন্ডার হলো বিশ্ব মানবতার জন্য হুমকিস্বরূপ। কারণ, এর মেইন উদ্দেশ্য হলো ফ্যামিলিকে ধ্বংস করে দেওয়া।

আমাদের সমাজ ও সংস্কৃতি পুরোটাই ফ্যামিলি বেইজড। যেই সংস্কৃতি আমাদের ফ্যামিলি প্রথাকে নষ্ট করে সেই সংস্কৃতি আমরা প্রচার করতে দিবোনা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানে আমরা এটা সহ্য করতে পারিনা।

শামসুন্নাহার হলের এক নারী শিক্ষার্থী বলেন, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্যই মূলত কোটা সিস্টেম। এক্ষেত্রে হিজড়া বা তৃতীয় লিঙ্গের যারা আছেন তাদের জন্য এটা যুক্তিযুক্ত। তাদের দৈহিক গঠনে তাদের কোন হাত নেই, বরং সেটা সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা। পরিস্থিতি বিবেচনা করলেও দেখা যায়, তারা আসলেই সুবিধা বঞ্চিত এবং অনগ্রসর। কিন্তু, ট্রান্সজেন্ডার দাবি করাদের কোটা প্রদান অযৌক্তিক। এটা বাস্তবায়ন হলে আমাদের নারী শিক্ষার্থীরা হুমকির সম্মুখীন হবে। কারণ, একজন ছেলে মানসিকভাবে যখন নিজেকে মেয়ে ও ট্রান্স নারী দাবি করবে তখন যদি তাকে মেয়েদের হলে সীট দেওয়া হলে মেয়েদেরকে তাদের সাথে বেড বা রুম শেয়ার করতে হবে। এটা কখনোই সম্ভব নয়। তাদের সামনে নামাজ পড়লে নামাজেও সমস্যা হবে।

- Advertisement -
ফেস দ্যা পিপল লাইভ টক শো উইথ সাইফুর সাগর
Video thumbnail
শেষ পর্যন্ত ইজতেমা ময়দান দ'খলে রাখতে পারলো না সাদপন্থীরা
03:23
Video thumbnail
যশোরের এক মাদরাসার ভিডিও ভা’ই’রাল, ফেস দ্যা পিপলের অনুসন্ধানে যা জানা গেল
04:00
Video thumbnail
তাবলীগ জামাতের পেছনে কোন শক্তি? আগে বিচার নাকি নির্বাচন? যা করা উচিত।
01:12:20
Video thumbnail
গুমের শিকার ইউপিডিএফ নেতা মাইকেল চাকমার অভিযোগ: ‘প্রধান অভিযুক্ত খু*নি হাসিনা’!
02:25
Video thumbnail
এবার ভারতীয় মিডিয়া রিপাবলিক টিভির ময়ূখকে এক হাত নিলেন ভারতীয় সাংবাদিক দীপক ব্যাপারী
13:50
Video thumbnail
ইজতেমা ময়দানে সাদপন্থীদের উ*গ্র* তা ও ভয়া *বহ হা ম *লা পরিকল্পিত! নেপথ্যে বেরিয়ে আসছে যাদের নাম !
05:15
Video thumbnail
সাদপন্থীদের উ *গ্র *তা ও ভয়া৮*বহ হা *ম *লা পরিকল্পিত
08:00
Video thumbnail
শিক্ষার্থীদের বি ব স্ত্র করে ভিডিও ভাইরাল করার হু*ম*কি দিতো রিভা!
03:59
Video thumbnail
সা’দপন্থীদের হাতে আ'ট'ক আ'ক্র'ম'ণকারীদের ৩০/৪০ জন! আ'ক্র'ম'ণকারীরা আসলে কোন পন্থী?
14:21
Video thumbnail
ইজতেমা ময়দানের সং'ঘ'র্ষে হাসনাত-সারজিসের সম্পৃক্ততা নিয়ে দুই পক্ষ ফেস দ্যা পিপলে যা জানিয়েছে
10:42

সর্বশেষ

আমাদের সাথে সংযুক্ত হোন

1,600,000FansLike
428FollowersFollow
1,270,000SubscribersSubscribe