কাতার ও যুক্তরাষ্টের মধ্যে ১.২ ট্রিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য চুক্তি করল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার (১৪ মে) কাতারে এসব চুক্তি সই হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউস।
এদিন ২৪৩ বিলিয়ন ডলারের কয়েকটি চুক্তির কথা ঘোষণা করেন ট্রাম্প। যার মধ্যে কাতার এয়ারওয়েজের কাছে মার্কিন বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং ও জিই অ্যারোস্পেসের ঐতিহাসিক বিমান বিক্রির চুক্তিও রয়েছে।
৯৬ বিলিয়ন ডলারের এই চুক্তির আওতায় বোয়িং ও জিই অ্যারোস্পেস কাতার এয়ারওয়েজকে যথাক্রমে ২১০টি বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার ও ৭৭৭এক্স বিমান সরবরাহ করবে।
দোহাতে হওয়া ওই চুক্তিতে সই করার সময়ে উপস্থিত ছিলেন বোয়িং-এর সিইও কেলি অর্টবার্গ-ও। চুক্তি সাক্ষরের পর ট্রাম্প বলেন, ‘এটা বোয়িংয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ক্রয়াদেশ, বোয়িংয়ের জন্য এটি রেকর্ড।’ তবে প্রাথমিকভাবে ১৬০টি বিমান সরবরাহ করার কথা জানান।
এছাড়া কাতারের আল উদেইদ বিমানঘাঁটি এবং অন্যান্য প্রতিরক্ষা ও সমুদ্র নিরাপত্তা সুবিধার উন্নয়নে সম্ভাব্য ৩৮ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগের লক্ষ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
কাতার যুক্তরাষ্ট্রে তাদের প্রতিরক্ষা বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে এবং এই চুক্তির মাধ্যমে তারা জেনারেল অ্যাটমিকসের ড্রোন ও রেথিয়নের অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম কিনবে।
কাতার সফর ছিল ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরের দ্বিতীয় দিন। এর আগে গত মঙ্গলবার (১৩ মে) সৌদি আরব সফর করেন তিনি। এ সময় যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের মধ্যে প্রায় ১৪২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তি হয়। রিয়াদে হওয়া এই চুক্তিকে ওয়াশিংটন ও রিয়াদের মধ্যে ‘ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অস্ত্র বিক্রির চুক্তি’ বলে উল্লেখ করেছে হোয়াইট হাউস।
এই সফরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সৌদির মোট ৬০০ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি সই হয়েছে। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান জানান, শিগগিরই বিনিয়োগের পরিমাণ ১ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে আশা করেন তিনি। কাতার সফর শেষে বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে যাবেন ট্রাম্প। আমিরাত সফরের মধ্যদিয়ে তার চার দিনের মধ্যপ্রাচ্যের সফর শেষ হবে।