যুক্তরাষ্ট্রে ৪১টি দেশের নাগরিকদের ভ্রমণ ও প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। সরকারি নথি ও বিভিন্ন সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
প্রস্তাবিত নিষেধাজ্ঞাটি তিনটি স্তরে ভাগ করা হয়েছে, যার আওতায় বিভিন্ন মাত্রায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে এই দেশগুলোর নাগরিকদের ওপর।
প্রথম স্তরে রয়েছে ১০টি দেশ—আফগানিস্তান, ইরান, কিউবা, উত্তর কোরিয়া, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া, ভেনেজুয়েলা ও ইয়েমেন। এই দেশগুলোর নাগরিকদের ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারির পরিকল্পনা রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে তারা কোনো মার্কিন ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
দ্বিতীয় স্তরে রয়েছে ইরিত্রিয়া, হাইতি, লাওস, মিয়ানমার ও দক্ষিণ সুদান। এসব দেশের নাগরিকরা শিক্ষার্থী ও পর্যটক ভিসা ছাড়া অন্য কোনো মার্কিন ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
তৃতীয় স্তরে রয়েছে ২৬টি দেশ, যাদের ওপর শর্তসাপেক্ষ নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনা রয়েছে। দেশগুলো হলো—অ্যাঙ্গোলা, অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবোডা, বেনিন, ভুটান, বুরকিনা ফাসো, বেলারুশ, পাকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, কেপ ভার্দে, কম্বোডিয়া, ক্যামেরুন, চাদ, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ডমিনিকা, গাম্বিয়া, লাইবেরিয়া, রিপাবলিক অব কঙ্গো, মালাউই, মৌরিতানিয়া, সেইন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, সেইন্ট লুসিয়া, সাও তোম অ্যান্ড প্রিনসিপি, সিয়েরা লিওন, পূর্ব তিমুর ও ভানুয়াতু।
এই দেশগুলোকে নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণের জন্য ৬০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হলে এসব দেশের নাগরিকদের ওপর সম্পূর্ণ বা আংশিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই অভিবাসন ও জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০১৮ সালে প্রথম দফায় সাতটি মুসলিমপ্রধান দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছিলেন তিনি, যা ব্যাপক বিতর্ক ও আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। সুপ্রিম কোর্ট পরে সেই নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করেছিল।
নতুন এ নিষেধাজ্ঞা নিয়ে জানতে চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স, তবে কর্মকর্তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।