চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে দ্বিতীয় লেগে হেরেও সেমিফাইনালের টিকিট কেটে নিয়েছে বার্সেলোনা। কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ৪-০ ব্যবধানে জয় এনে রাখার সুবাদে, দ্বিতীয় লেগে ৩-১ গোলে হেরেও অ্যাগ্রিগেট স্কোরে ৫-৩ ব্যবধানে শেষ চারে পৌঁছায় স্প্যানিশ জায়ান্টরা।
মঙ্গলবার সিগনাল ইদুনা পার্কে দুর্দান্ত খেলেও হতাশায় বিদায় নিতে হয় নিকো কোভাচের ডর্টমুন্ডকে। বিপরীতে ২০১৯ সালের পর প্রথমবার ইউরোপ সেরার লড়াইয়ের সেমিফাইনালে ফিরলো বার্সেলোনা।
ম্যাচের শুরু থেকেই আলো ছড়ান গিনি বংশোদ্ভূত ডর্টমুন্ড স্ট্রাইকার সেরহু গিরাসি। প্রথমার্ধের ১১ মিনিটে সাহসী ‘পানেনকা’ পেনাল্টিতে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন তিনি। বার্সা গোলরক্ষক নিজের বক্সে পাসকাল গ্রসকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় স্বাগতিকরা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আরও একবার বাজিমাত করেন গিরাসি। ৪৯ মিনিটে রামি বেনসেবাইনি’র কর্নার থেকে মাথা ছুঁইয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন।
ঠিক পাঁচ মিনিট পরেই আত্মঘাতী গোল করে ম্যাচে অনেকটাই নাটকীয় মোড়ে নিয়ে যান সেই বেনসেবাইনি। ভুল করে বার্সার ফেরমিন লোপেজের ক্রসে আত্মঘাতী গোল করে বসেন। এতে বার্সা আবারো অ্যাগ্রিগেট ব্যবধানে তিন গোলে এগিয়ে যায়।
তবুও থামেননি গিরাসি। ৭৬ মিনিটে বার্সা রক্ষণের বিশৃঙ্খলা কাজে লাগিয়ে দুর্দান্ত ভলিতে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন। চলতি আসরে এটি তার ১৩ ম্যাচে ১৩তম গোল। শেষ দিকে জুলিয়ান ব্রান্ডট ও পাসকাল গ্রস গোল করলেও অফসাইডের কারণে তা বাতিল হয়। বার্সা গোলরক্ষকও শেষদিকে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সেভ করে দলকে রক্ষা করেন।
এদিকে, টানা ২৪ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর প্রথম হার হজম করে বার্সা। হার হজম করেও হাসিমুখেই মাঠ ছাড়ে হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। কারণ ছয় বছর পর বার্সেলোনা আবারো পৌঁছেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে।