অস্থিতিশীল বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক যখন প্রয়োজনীয় পণ্য ও শিল্পের কাঁচামাল আমদানির জন্য এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) দায়বদ্ধতার সঙ্গে লড়াই করছে এমন সময় জানুয়ারিতে অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স প্রবাহ ভালো খবর হিসেবে এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারিতে বৈধ পন্থায় দেশে ১৯৬ কোটি মার্কিন ডলার এসেছে। ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৬৯ কোটি ডলার।
চলতি অর্থবছর ২০২২-২০২৩ এ বাংলাদেশ সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) এক হাজার ২৪৫ কোটি ডলারের অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স পেয়েছে।
ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, ডলার সংকটের কারণে অনেক আমদানি পেমেন্ট পিছিয়ে যাচ্ছে। এ জন্য প্রবাসী আয়ের যে ডলার তা নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে কেনা হচ্ছে। ফলে প্রবাসী আয় বেড়েছে। ডলারের মূল্যসীমা অপসারণ করা হলে সংকট কেটে যাবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেসবাউল হক ইউএনবিকে বলেন, রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রেমিট্যান্সের জন্য মার্কিন ডলারের বিনিময় হার বাড়িয়েছে। রেমিট্যান্সের জন্য ২ দশমিক ৫ শতাংশ ঝামেলামুক্ত প্রণোদনার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা আকৃষ্ট করতে বেশ কয়েকটি ব্যাংক অতিরিক্ত প্রণোদনাও দিয়ে থাকে। বৈধ পন্থায় রেমিট্যান্স পাঠাতে কোনো চার্জ বা ফি কাটবে না ব্যাংকগুলো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রবাসী আয়ের ৪০ শতাংশের বেশি রেমিট্যান্স দেশে পাঠানো হয় হুন্ডির মাধ্যমে।