ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সংশ্লিষ্ট বিধিমালায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। এতে নির্বাচনের লক্ষ্য, অংশগ্রহণের যোগ্যতা ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের মিটিং শেষে জনসংযোগ দফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
ছাত্র সংসদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে নতুন বিধিমালায় বলা হয়েছে, স্বাধীনতা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও লালন এবং ২০২৪ সালের জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানসহ বাংলাদেশের ইতিহাসে সংঘটিত সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেতনাকে প্রতিষ্ঠা করা। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের পাঠ্য ও সহশিক্ষা কার্যক্রমে সর্বোচ্চ উৎকর্ষ অর্জনে সহায়তা করা।
নির্বাচনে ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণকালীন শিক্ষার্থী হওয়ার বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে যিনি ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়ে স্নাতক, মাস্টার্স বা এম.ফিল. প্রোগ্রামে অধ্যয়নরত এবং কোনো আবাসিক হলে অবস্থানরত বা সংযুক্ত এমন ব্যক্তি নির্বাচনে ভোটার বা প্রার্থী হতে পারবেন।
ফলে, সান্ধ্যকালীন কোর্স, পেশাদার বা এক্সিকিউটিভ মাস্টার্স, ডিপ্লোমা, সার্টিফিকেট ও ভাষা কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা ভোটার বা প্রার্থী হওয়ার যোগ্য হবেন না। একইভাবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ও সংযুক্ত কলেজ/ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরাও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
হালনাগাদকৃত গঠনতন্ত্রে নির্বাচন পরিচালনার কাঠামো সম্পর্কে বলা হয়েছে, প্রতিটি আবাসিক হলে অথবা ক্যাম্পাসের ভেতরে উপযুক্ত কোনো স্থানে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। সংশ্লিষ্ট হলে সংযুক্ত শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত বুথে ভোট প্রদান করবেন।
এছাড়াও, গঠনতন্ত্রে নতুন চারটি পদ যুক্ত করা হয়েছে। সেগুলো হলো, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক এবং মানবাধিকার ও আইনবিষয়ক সম্পাদক।
এদিকে, আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাবি প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমদ।