ঢাবি প্রতিনিধি
আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে নিয়ে পরিচালিত জরিপের ফল প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা সংসদ। জরিপে সর্বোচ্চ ৩৮.৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী ডাকসুতে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ফল প্রকাশ করে সংস্থাটি।
জরিপের উদ্দেশ্য নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা সংসদের সভাপতি ফাহিম হাসান মাহদি বলেন, ডাকসুর প্যানেল ঘোষণার পরে রাজনৈতিক পরিবেশ, শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ, দৃষ্টিভঙ্গি ও প্রত্যাশা জানাই ছিলো এ জরিপের মূল উদ্দেশ্য।
তিনি আরও বলেন, জরিপে মোট ৯২৯ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়। তন্মধ্যে, কারিগরি ত্রুটির কারণে ২৯টি স্যাম্পল বাদ দিয়ে মোট ৯০০টি স্যাম্পলের ওপর জরিপ চালানো হয়।
জরিপে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫৬ শতাংশ তথা ৫০৪ জন নারী শিক্ষার্থী ও ৪৪ শতাংশ তথা ৩৯৬ জন পুরুষ শিক্ষার্থী মতামত দিয়েছেন। তাদের মধ্যে সর্বমোট ৪৫ শতাংশ অনাবাসিক এবং ৫৫ শতাংশ আবাসিক শিক্ষার্থী রয়েছেন।
জরিপে ডাকসু সম্পর্কে অবগত কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ৭৮ শতাংশ শিক্ষার্থী অবগত আছেন বলে জানিয়েছেন। এছাড়াও, আংশিক অবগত বলে জানান ২১ শতাংশ শিক্ষার্থী। আর অবগত নেই বলে জানান বাকি ১ শতাংশ শিক্ষার্থী।
ডাকসুতে প্রার্থীদের বয়সসীমা কেমন হওয়া উচিত এমন প্রশ্নের জবাবে ২০-২৫ বছর বলে মতামত দেন ৫৯.৮ শতাংশ শিক্ষার্থী। আর ১৬.৭ শতাংশ শিক্ষার্থীর মতে বয়সসীমা হওয়া দরকার ২৬-৩০ বছর। জরিপে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৮৪.৭৮ শতাংশ ডাকসুতে ভোটদানে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এছাড়া, ১৩.১১ শতাংশ শিক্ষার্থী সিদ্ধান্তহীনতার কথা জানান।
ভোটদানে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৩৮.৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভোট দেবেন বলে জানান। এর পরেই রয়েছে ছাত্রশিবির। ২০.৯২ শতাংশ শিক্ষার্থী শিবিরকে ভোট দিবেন বলে মতামত দেন। ১৬.৪২ শতাংশ শিক্ষার্থী ছাত্রদল, ৫.৮৯ শতাংশ শিক্ষার্থী উমামা ফাতেমার নেতৃত্বাধীন স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য ও ৪.৭৬ শতাংশ শিক্ষার্থী বাগছাসকে ভোট দেবেন বলে জানান।
ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রার্থীদের কোন গুণকে অগ্রাধিকার দেবেন এমন প্রশ্নের জবাবে ৫৬ শতাংশ শিক্ষার্থী ন্যায়পরায়ণতা ও ব্যক্তিত্বকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দেন। ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থী প্রার্থীর নেতৃত্বের গুনাবলী ও ২ শতাংশ শিক্ষার্থী প্রার্থীর একাডেমিক সাফল্যকে প্রাধান্য দেওয়ার কথা জানান।
পূর্ববর্তী ডাকসু নির্বাচন শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা কতটা পূরণ করেছে এমন প্রশ্নের জবাবে ৫৩.৪ শতাংশ আংশিক পূরণ করেছে ও ৪৩.৭ শতাংশ শিক্ষার্থী একেবারেই করতে পারে নি বলে মতামত দেন।
নির্বাচনী প্রচারণায় সাইবার বুলিং এর স্বীকার হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ২৪.৪ শতাংশ শিক্ষার্থী অনেক পরিমাণে সাইবার বুলিংয়ের স্বীকার হচ্ছে বলে জানান। এছাড়াও, ১৮.৫ শতাংশ শিক্ষার্থী মতামতবিহীন ও ৪.৫ শতাংশ শিক্ষার্থী বুলিংয়ের স্বীকার হন নি বলে জানান।