ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন টালবাহানা করছে এমন অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন ছাত্রনেতারা।
সোমবার (২ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে প্রেরিত এক বার্তায় ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ও রোডম্যাপ নিয়ে সুস্পষ্ট কোন ঘোষণা না থাকায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।
এর আগে, গত ২৪ মে ❝পবিত্র ঈদুল আযহার বন্ধের পূর্বেই ডাকসু নির্বাচনের জন্য সম্ভাব্য সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশন গঠন❞ ও ২ জুনের মধ্যে ডাকসুর সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার কথা জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। কিন্তু নির্ধারিত সময়েও ডাকসুর সুস্পষ্ট রোডম্যাপ দিতে না পারাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যর্থতা বলে মনে করছেন বাংলাদেশ গনতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ঢাবি শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের।
তিনি বলেন, ডাকসু আয়োজন করতে গেলে প্রশাসনের একনিষ্ঠ প্রচেষ্টা থাকা লাগে, গাটস্ থাকা লাগে, সেসবের একটাও বর্তমান প্রশাসনের যে নাই, সেটা বিগত ৯ মাসের কার্যকলাপে প্রতীয়মান। চেয়ারে বসার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভুলেই গেছে, ফার্স্ট প্রায়োরিটির জায়গা থেকে তাঁদের কোন কাজটা আগে করা উচিৎ। তাঁরা মূল কাজের চেয়ে আনুষাঙ্গিক কাজগুলাকে বেশি প্রায়োরিটি দিয়েছেন। যেটা তাদের ব্যর্থতাকে তরান্বিত করেছে।
এদিকে ডাকসু পেছানোকে জুলাই স্পিরিটের সঙ্গে সুস্পষ্ট প্রতারণা বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামি ছাত্রশিবিরের ঢাবি শাখা সভাপতি এস এম ফরহাদ। তিনি বলেন, একটি অশুভ চক্রের এজেন্ডা বাস্তবায়নে সহযোগিতা করতে ডাকসু পেছানোর অপচেষ্টা ‘জুলাই স্পিরিট’-এর সঙ্গে সুস্পষ্ট প্রতারণা। অশুভ চক্রের পেশিশক্তি ও দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতি ফিরিয়ে আনার প্রকল্পে যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সহযোগিতা করে, তাহলে এই প্রশাসনের বিরুদ্ধেও শিক্ষার্থীরা আরেকটি ‘জুলাই’ নামাবে—ইনশাআল্লাহ।
যারা ডাকসু নির্বাচনে বাধা দিচ্ছে তারা নব্য ফ্যাসিবাদ কায়েম করছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা। তিনি বলেন, প্রশাসনিক জটিলতা দেখিয়ে ডাকসু নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে একটি মহল । ২৪ মে যেদিন অনশণ ভাঙিয়েছে সেদিন ও বলা হয়েছে নির্বাচন কমিশনে তিনজন ঠিক হয়েছে আর তিনজন ঠিক করার কাজ চলছে। তাহলে এই কয়দিনে কি সন্তোষজন অগ্রগতি হলো!
তিনি আরও বলেন, আমরা স্পষ্ট ভাবেই বলতে চাই, এখন যারা ডাকসু নির্বাচনে বাধা দিচ্ছে তারা নব্য ফ্যাসিবাদ কায়েম করছে। আমাদের লড়াই এখন থেকে এই নব্য ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে হবে।