ঢাকা বিশদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে সামনে রেখে ছাত্র অধিকার সমর্থিত ‘ডাকসু ফর চেঞ্জ প্যানেলের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বেলা তিনটায় মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ইশতেহার ঘোষণা করা হয়। এ সময় প্যানেলের ভিপি প্রার্থী বিন ইয়ামিন মোল্লা ‘নো মোর ডার্টি পলিটিক্স, নো মোর ভায়োলেন্স’: ‘মেক দ্যা ডাকসু ফর একাডেমিক এক্সিলেন্স’ স্লোগানকে সামনে রেখে ইশতেহার পাঠ করেন।
ইশতেহারে সর্বমোট ১৪ দফা অঙ্গীকার তুলে ধরা হয়। দফাগুলো হলো:
১. ডাকসুকে নিয়মিত ক্যালেন্ডার ইভেন্টে পরিনত করা। ডাকসু চলমান থাকতেই পরবর্তী ডাকসুর প্রস্তুতি সম্পন্ন করা
২. শিক্ষার্থীদের দাবি One student, One bed, one table এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করা। অনতিবিলম্বে প্রথম বর্ষ ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের আবাসন ব্যবস্থা করা, তার আগ পর্যন্ত মেধা ও প্রয়োজনের ভিত্তিতে আবাসিক বৃত্তির ব্যবস্থা করা।
৩. খাবারের মান উন্নত করা, প্রয়োজনে এক্ষেত্রে ভর্তুকির ব্যবস্থা করা।
৪. ফুল ফ্রি স্কলারশিপ ফর এভরি স্টুডেন্ট” লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করা। অনতিবিলম্বে, মেধা ও প্রয়োজনের ভিত্তিতে পার্ট টাইম জব ও ইন্টার্নশিপ এর ব্যবস্থা করা, বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের জন্য আউটসোর্সিং জবের ব্যাবস্থা করা।।
৫. বিদ্যমান গবেষণা কেন্দ্রগুলোকে আরো উন্নত ও আধুনিক করে বিশ্বমানের গবেষণা কেন্দ্রে রূপান্তরিত করা।
৬. আধুনিক সুবিধা সম্পন্ন পর্যাপ্ত লাইব্রেরির ব্যবস্থা করা, শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবস্থা চালু করা।
৭. রেজিস্টার বিল্ডিং সংস্কার করা, ভর্তি সার্টিফিকেট উত্তোলনসহ সকল প্রক্রিয়া অটোমেশন ও ওয়ান স্টপ সার্ভিস এর আওতায় নিয়ে আসা।
৮. অ্যাকাডেমিয়া ইন্ডাস্ট্রিয়া রিলেশন স্থাপন করা। দেশ ও বিশ্বের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের সাথে কন্টাক্ট এর মাধ্যমে হিউম্যান রিসোর্স তৈরি করা।
৯. বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাধ বহিরাগত ও যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ। নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া।
১০. বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সপোর্টেশন সংকট সমাধান ও বাসে ট্র্যাকার সিস্টেম চালু করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে পরিবেশবান্ধব ইলেকট্রিক শাটল সংখ্যা বৃদ্ধি করা ও প্রতিটি রুটে পর্যাপ্ত বাস ট্রিপ নিশ্চিত করতে হবে।
১১. মেডিকেল সেন্টারে আধুনিক সেবা নিশ্চিত করা ও হল এরিয়াতে ফার্মেসি স্থাপন করা।
১২. বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্থাপনার টেম্পার টেস্ট করা ও হল ও একাডেমিক ভবনসহ বিভিন্ন বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা সংস্কার করা, পুকুরগুলো সংস্কার করা।
১৩. টিএসসি ভিত্তিক ও এর বাইরেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সকল ক্রিয়াশীল সংগঠন রয়েছে তাদের সাথে আরো বেশি কোঅপোরেশন ও ডেভেলপমেন্ট ফাংশন করা।
১৪. ক্যাম্পাসে নানান বৈচিত্র ও নানান পথের মত প্রকাশের দারকে অবারিত রাখা ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ সমুন্নত রাখা। ক্রীড়া, শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি চর্চার ভিতর দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জুলাই অভ্যুত্থান এর চেতনাকে সমুন্নত রাখা।