প্রতিদিন নানান কাজের জন্য মিন্টো রোডের ডিবি পুলিশ কার্যালয়ে আসেন অনেকেই। তাদের অনেককে ডিবি কার্যালয়ে মধ্যাহ্নভোজে ভাত খাইয়ে আপ্যায়ন করা হয়। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ জনপ্রিয়। আর এই ঘটনা যখন নিয়মিত তখন মিন্টো রোডের এই কার্যালয়ের আরেক নাম হয়ে যায় ‘ডিবির ভাতের হোটেল।’
কিন্তু যাদের আয়োজন নিয়ে এই মন্তব্য সেই ডিবি পুলিশকে কখনোই এই নিয়ে মুখ খুলতে দেখা যায়নি। তবে মঙ্গলবার ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানালেন এসব মন্তব্যকে ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছে ডিবি পুলিশ। তাদের ভাষ্য, ‘ডিবির ভাতের হোটেল’ আসলে রসবোধ থেকে বলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ মন্তব্য করেন।
এসময় ‘ডিবির ভাতের হোটেল’ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এটা আসলে রসবোধক প্রশ্ন। বাঙালি একটা রসবোধক জাতি। বাংলা সাহিত্যে রসবোধ প্রয়োগ কিন্তু আমাদের মানসিক খোরাক জোগায়। আমি মনে করে এটা রসবোধ প্রবণ একটি বিষয় যে…ডিবি ভাত খাওয়ায়। আমরা তো আসলে কাউকে ডেকে এনে খাওয়াই না। কেউ যদি কাজের জন্য আমাদের কাছে আসে, তার কাজটা করে দেওয়ার চেষ্টা করি। আর পাশাপাশি লাঞ্চ টাইম হলে লাঞ্চের অফার করি।’
ডিবি প্রধান বলেন, ‘আমরা তো ব্রিটিশ পুলিশ না। আমরা এখন স্বাধীন দেশের পুলিশ। একটা সময় থানাতে যেতে মানুষ ভয় পেত। আর এখন আমি একজন ডিআইজি। শত শত লোক কোনো না কোনো কাজে এখানে আসছে। সাইবার বুলিংসহ বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে মানুষ আমাদের কাছে আসছে।’
‘সাংবাদিকরাও বলেন ডিবি একটি আস্থার জায়গা। ডিবিতে সব ধরনের মানুষের অভিযোগের কথা শোনা হয়। আমি মনে করি ডিবি যেহেতু একটি আস্থার জায়গা, ডিবিতে যেহেতু সাধারণ মানুষ আসে তাই আমরা তাদের কাজ করে দেই। আমি মনে করি এটা আমাদের একটা দায়িত্ব। আর ডিবি পুলিশ যে মানবিক এটার উদাহরণ হচ্ছে আমরা মানুষকে আপ্যায়ন করি।’