সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি এক আলোচনা উঠে আসে– “ডিবি পরিচয়ে চাঁদাবাজী করতে গিয়ে বরিশাল মহানগর ছাত্র শিবির নেতা আটক”। ফেসবুকে প্রচারিত এইসব খবরে উল্লেখ করা হয় তিনি শিবিরের নেতা। তবে আটক ওই ব্যক্তি শিবির নেতা নয় বরং তিনি ছাত্রদল নেতা বলে জানিয়েছে রিউমার স্ক্যানার বাংলাদেশ।
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক ব্যক্তি বাংলাদেশ ইসলামী শিবিরের কোনো নেতা নন বরং তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের একজন নেতা।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে মূলধারার গণমাধ্যম ‘বাংলা ট্রিবিউন’র ওয়েবসাইটে গত ২৩ ডিসেম্বর (২০২৪) “ডিবি পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে ধরা পড়লেন এসআই ও ছাত্রদল নেতা” শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।
ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়নের চন্দ্রপাড়া এলাকায় জুয়ার আসর থেকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে পুলিশের এক উপপরিদর্শক (এসআই) ও আরেক ছাত্রদল নেতা জনতার হাতে ধরা পড়েন। পরে তাদের মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
পরবর্তীতে মূলধারার একাধিক গণমাধ্যমে এ বিষয়ে প্রকাশিত সংবাদে আটক ব্যাক্তিদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়।
আটক ব্যাক্তিরা হলেন- বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রাসেল আকন এবং বরিশালের কাজিরহাট থানার এসআই রেদোয়ান।
অর্থাৎ, ডিবি পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক ব্যক্তিরা বাংলাদেশ ছাত্রশিবিরের কোনো নেতা নন। সুতরাং, ডিবি পরিচয়ে চাঁদাবাজী করতে গিয়ে ছাত্রদল নেতার আটকের বিষয়টিকে বরিশাল মহানগর ছাত্র শিবির নেতা আটক দাবিতে ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
ঘটনার পর সত্যতা নিশ্চিত করে বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘শাকিবুল ছাত্রদল বরিশাল মহানগরের সহসভাপতি। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। কারো ব্যক্তিগত অপকর্ম সংগঠন নেবে না।’
এ বিষয়ে বরিশালের কাজিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেছিলেন, এসআই রেদোয়ান ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এতে স্পষ্ট হয় ছাত্র শিবির নয় বরং ডিবি পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক ব্যক্তি ছাত্রদলের নেতা।