বাজারে দফায় দফায় ডিমের দাম বেড়েছে। চলতি সপ্তাহে আরেকদফা বাড়ছে। বড় বাজারে পোলট্রি মুরগির বাদামি ডিমের দাম উঠেছে প্রতি হালি ৪৫ টাকা। আর পাড়া-মহল্লার মুদিদোকানে ডিমের দাম পড়ছে হালিতে ৫০ টাকা।
ডিমের দাম বাড়ার এ অবস্থায় কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, দাম শিগগিরই কমে আসবে।
রবিবার(১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে আদর্শ প্রাণিসেবা লিমিটেড কর্তৃক আয়োজিত ‘প্রাণিসম্পদ খাতে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধিতে আমাদের অবস্থান ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী এমনটা জানান।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ডিমের দাম বেড়েছে, তবে এটি সাময়িক। এবং শিগগিরই দাম কমে আসবে।
মন্ত্রী আরও বলেছেন, দুধ, মাছ, মাংসের উৎপাদন বেড়েছে। তবে এসব খাদ্যপণ্যে আমরা এখনো স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারিনি।
দেশে ভোজ্যতেলের উৎপাদন নিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, তিন থেকে চার বছরের মধ্যে ভোজ্যতেলের চাহিদা শতকরা ৪০ ভাগ দেশে উৎপাদনের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।
প্রকৃত কৃষককে আরও সহজ শর্তে জামানত ছাড়াই ঋণ দেওয়া যায় জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার কৃষি খাতে ৪ শতাংশ স্বল্প সুদে কৃষকদের ঋণ দিচ্ছে। কিন্তু এ ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে বিদ্যমান কঠিন শর্ত অনেক সময়ই কৃষক পূরণ করতে পারেন না। সে জন্য ঋণ দেওয়ার পদ্ধতি আরও সহজ করতে হবে। প্রকৃত কৃষককে জামানত ছাড়াই ঋণ দেওয়া যায়।
তিনি বলেন, প্রাণিসম্পদে অবশ্যই বিমা প্রয়োজন। বর্তমানে একটি গাভির দাম ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা। সে জন্য প্রাণিসম্পদে অবশ্যই বিমা হওয়া উচিত। তবে বিমা কোম্পানির ওপর দেশের মানুষের বিশ্বাস নেই। তারা গ্রাহককে ব্যাপকভাবে হয়রানি ও প্রতারণা করে। এ হয়রানি ও প্রতারণা বন্ধ করে বিমাকে গ্রাহকবান্ধব করতে হবে। বিমাতে মানুষের আস্থা বৃদ্ধি করতে হবে।
এ সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইসমাইল হোসেন, কৃষি ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবদুল্লাহ হারুন পাশা, কৃষিবিদ আওলাদ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং ও বিমা বিভাগের অধ্যাপক হাসিনা শেখ, ব্যাংক এশিয়ার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরফান আলী, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কায়সার হামিদ প্রমুখ।