আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ডেঙ্গু মশা মারাত্মক, বিএনপি আরও বেশি মারাত্মক। অনেক ক্ষেত্রে ডেঙ্গুর চেয়ে আরও বেশি মারাত্মক বিএনপি।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু মশা কামড়ায়, বিএনপি আগুন জ্বালায়। বিএনপি গাড়ি পোড়ায়, মানুষ পোড়ায়, জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে মারে। অনেক ক্ষেত্রে ডেঙ্গু মশার চেয়েও বিএনপি অনেক মারাত্মক।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) সকালে খামারবাড়ি গোলচত্বর এলাকায় কৃষক লীগের আয়োজিত ডেঙ্গু (এডিস) মশা নিধন ও সচেতন তৈরি কর্মসূচি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
করোনা মহামারিসহ সব বিপদে আওয়ামী নেতাকর্মীরা জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলো দেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। স্বাস্থ্য যেমন সুরক্ষা করছে তেমনি মানুষের পাশে খাদ্য নিয়েও পাশে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, করোনা মহামারিতে মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আমাদের দলীয় ১২ জন সংসদ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে দেশে হাজার হাজার মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। অনেক মানুষ ইতোমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছে। অনেক দেশে আমাদের তুলনায় ডেঙ্গুতে আক্রান্তের হার অনেক বেশি। মৃত্যুর হার ও সেখানে বেশি। আমাদের সরকার সেটা নিয়ন্ত্রণ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ হবে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের জন্য সামাজিক আন্দোলন দরকার, রাজনৈতিক কর্মসূচি দরকার,কোনো দল আজ পর্যন্ত ডেঙ্গু মশা নিয়ন্ত্রণ বা ডেঙ্গু মশা নিধনের জন্য কোনো কর্মসূচি দেয় নাই। আজকে কৃষক সেটি শুরু করতে যাচ্ছে।
এসময় বিএনপির সমালোচনা করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ডেঙ্গু মশা নিয়ন্ত্রণ বলুন, কৃষকের পাশে দাঁড়ানো বলুন, করোনার সময় মাঝেমধ্যে ফটো সেশন ছাড়া তাদেরকে আর কোথাও দেখা যায় না। এখন আছেন তারেক জিয়া, জোবায়দা রহমানের কেন শাস্তি হল সেটা নিয়ে। তারা রাজনীতিটা জনগণের জন্য করে না। বিএনপি রাজনীতি করে বেগম খালেদা জিয়া তারেক জিয়া এবং তাদের পরিবারের জন্য।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি এমন এক দল যারা কাউকে মেম্বার ইলেকশনও করতে দিচ্ছে না। সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলের ইলেকশন করতে দিচ্ছে না, নির্বাচন করলে বহিষ্কার করছে। মানুষ এই দল কেন করবে? যে দল করলে কোনো নির্বাচন করা যায় না? এই হচ্ছে বিএনপি।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, তারেক রহমান ও খালেদা জিয়া বিএনপিকে লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে চায়। বিএনপিকে তারা সংসদে চায় না বিএনপিকে তারা ইউনিয়ন পরিষদে চায় না।
কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও কৃষিবিদ সুব্রত কুমার দাস।
কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতির সঞ্চালনায় কর্মসূচি অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন- সহ-সভাপতি আকবর আলী চৌধুরী, হোসনে আরা, আব্দুল লতিফ তারিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বানাথ সরকার বিটু, শামীমা আক্তার খানম, সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী জসিম, আসাদুজ্জামান বিপ্লব, কৃষিবিদ ড. হাবিব মোল্লা, অর্থ সম্পাদক নাজির মিয়া, দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা প্রমুখ।