বছরের প্রথম দিনেই শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক জনপ্রিয় এই অর্থনীতিবিদের কারাদণ্ডের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। তার কারাদণ্ডের বিষয়টি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়েও ঠাঁই পেয়েছে।
দেশটির ভাষ্য বলছে, ড. ইউনূস বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তার ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারকে ন্যায্য ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার আহ্বান জানান হয়েছে। পাশাপাশি এই সংক্রান্ত পরবর্তী ঘটনাগুলোও ঘনিষ্ঠভাবে নজরে রাখার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
নিয়মিত ব্রিফিংয়ের এক প্রশ্নে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তার এই অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কারসহ মর্যাদাপূর্ণ অসংখ্য আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা তার বিরুদ্ধে মামলাটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি। আমরা অবশ্যই রায়ের পর ব্যাপক আন্তর্জাতিক সমালোচনাও দেখেছি। আমাদের পক্ষ থেকে আমরা বাংলাদেশ সরকারকে একটি ন্যায্য ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য উৎসাহিত করেছি এবং এই বিষয়ে পরবর্তী যেকোনও ঘটনা আমরা ঘনিষ্ঠভাবে নজরে রাখব।
একইসঙ্গে বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আবারও তার অবস্থান পরিষ্কার করেছে। দেশটি জানিয়েছে, আমরা নির্বাচনগুলো খুব কাছ থেকে দেখব, তবে অবশ্যই নির্বাচনের প্রতিক্রিয়ায় আমরা কী পদক্ষেপ নিতে পারি বা নিতে পারি না সে সম্পর্কে আমি আগে থেকে কোনও কথা বলব না।
ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করি। আমরা এটি বেশ কয়েকবার পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছি।