ড. মুহাম্মদ ইউনূস বুধবার (২৯ জুন) যে বিবৃতি দিয়েছেন সেটা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। একই সঙ্গে পদ্মা সেতু নিয়ে যারা বিরোধিতা করেছেন তারা সারা দেশের মানুষের উল্লাস দেখে লজ্জিত।
তিনি বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন নিয়ে ষড়যন্ত্র ও সেতুর বিরোধিতা করেছেন সেটা দিবালোকের মতো স্পষ্ট। এভাবে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করে কস লাভ নেই। প্রয়োজনে আরও প্রমাণ দেয়া হবে।’
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক ইস্যুতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন্তব্য করেন।
পদ্মা সেতু অর্থায়ন বন্ধের বিষয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস জড়িত নন বলে যে বিবৃতি দেয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, তিনি যে বিবৃতি দিয়েছেন এটি সত্যের অপলাপ, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। তিনি যে বিরোধিতা করেছেন সেটি দিবালোকের মতো স্পষ্ট। ড. ইউনূস আগে কখনও এ কথা বলেনি যে আমি এ অপচেষ্টা চালাইনি। বরং বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধ হলো তখন দম্ভ করে নানা জায়গায় কথা বলেছেন। যেগুলো এখনও বাতাসে ভেসে বেড়ায়।
তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধে অনেকেই বিরোধিতা করেছিলেন। তার মধ্যে অন্যতম প্রধান ব্যক্তি হচ্ছেন, তার প্রতি যথাযথ সম্মান-শ্রদ্ধা রেখেই বলতে চাই, পদ্মা সেতুর বিরোধিতাকারী বিশেষ করে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের বিরোধিতাকারী অর্থায়ন বন্ধের ক্ষেত্রে যারা কুশীলব হিসেবে কাজ করেছিল তার মধ্যে অন্যতম প্রধান ব্যক্তি হচ্ছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
হাছান মাহমুদ বলেন, ড. ইউনূসের সাথে হিলারি ক্লিনটনের বিশেষ সখ্যতা থাকার সুবাদে হিলারি ক্লিনটনের মাধ্যমে পদ্মা সেতুতে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধের যে চেষ্টা চালিয়েছেন, বন্ধ করার ক্ষেত্রে মূল কুশীলবের ভূমিকা পালন করেছিলেন, সেটি দিবালোকের মতো স্পষ্ট, সেটি দেশ-বিদেশের সবাই জানে।
বিবৃতিতে পদ্মা সেতু হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী ও সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এটা কিভাবে দেখছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করেছিল সারা দেশ যখন উল্লাসিত, তখন তারা প্রচণ্ড লজ্জিত। যারা বিরোধিতা করেছিল তারা লজ্জা ঢাকতে এই বিবৃতি দিয়ে অপচেষ্টা করেছেন।