আগামী ৩০ আগস্ট সন্ধ্যায় ঢাকা সফরে আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়কালে ইউরোপের কোনো শীর্ষ নেতার এটি প্রথম সফর।
সফরের পরদিন ৩১ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
এই বৈঠকে অভিবাসন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, নিরাপত্তা এবং প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা—এই চারটি বিষয়ে গুরুত্ব পাবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।
বৈঠকের পর একান্ত আলোচনা ও মধ্যাহ্নভোজ শেষে সেদিনই ঢাকা ছাড়তে পারেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে, ১৯৯৮ সালের জানুয়ারিতে ঢাকায় এসেছিলেন ইতালির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রোমানো প্রোদি। সেটিই ছিল ইতালির কোনো প্রধানমন্ত্রীর প্রথম বাংলাদেশ সফর।
বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যে চলতি বছরের মে মাসে ‘মাইগ্রেশন অ্যান্ড মোবিলিটি’ শীর্ষক একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। এর লক্ষ্য হলো অবৈধ অভিবাসন রোধ করে নিরাপদ ও নিয়মিত অভিবাসন নিশ্চিত করা।
বাংলাদেশের পক্ষে এ চুক্তিতে সই করেন প্রবাসীকল্যাণ উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল, এবং ইতালির পক্ষে সই করেন সে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেদোসি।
চুক্তি অনুযায়ী, ইতালি ‘সিজনাল’ ও ‘নন-সিজনাল’—দুই ধরনের কর্মী নেবে।
ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমরা সবসময় বৈধ উপায়ে শ্রমিক আসাকে উৎসাহিত করি। এই সমঝোতার মাধ্যমে দুই দেশের বন্ধুত্ব আরও বাড়বে।”
বর্তমানে বাংলাদেশ-ইতালি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ১.৫ বিলিয়ন ডলার। তৈরি পোশাকের পাশাপাশি চামড়াজাত পণ্যও রপ্তানি করে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, ইতালির প্রযুক্তি ও বাংলাদেশের মানবসম্পদ মিলিয়ে বিনিয়োগ ও ব্যবসার নতুন ক্ষেত্র তৈরি হতে পারে।