রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় ঢাকা কলেজ ও ঢাকা সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আগামী দুই দিনের জন্য সিটি কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার(২২ এপ্রিল) বেলা পৌনে ১২টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত দফায় দফায় শিক্ষার্থীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান নেয়। দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশও লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে শিক্ষার্থীদের রাস্তা থেকে দফায় দফায় সরিয়ে দেয়। বেলা ৩ টার পর থেকে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়।
সিটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোবারক হোসেন বেলা ৩টা ২০ মিনিটের দিকে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন। আগামী দুই দিন অর্থাৎ বুধ ও বৃহস্পতিবার সিটি কলেজ বন্ধ রাখা হবে বলে ঘোষণা দেন তিনি।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শিক্ষার্থীদের বাসায় ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানান । তিনি বলেন, সিটি কলেজের স্থাপনায় যে হামলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের ওপর যে হামলা হয়েছে সেটির অবশ্যই তদন্ত হওয়া উচিত। এ ঘটনাগুলোর তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। মারামারি করে এসব সমস্যার সমাধান হবে না বলেও জানান। তিনি বলেন,‘এতে সিটি কলেজের স্থাপনার ক্ষতি হবে, শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হবে এবং আশপাশের শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হবে।’
ঢাকা ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আবার পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, পুলিশের লাঠিপেটা
দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার কোনো কারণ জানা যায়নি বলে জানিয়েছেন পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার জিসানুল হক। বেলা আড়াইটার দিকে প্রথম আলোকে তিনি এ কথা জানান।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী সুজন আলী গণমাধ্যমকে বলেন, গতকাল সায়েন্স ল্যাব মোড়ে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা তাঁদের মারধর করেছেন। এর জের ধরেই তাঁরা আজ প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান, গতকাল ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের দায়ী করা হচ্ছে। অথচ যারা ওই মারধরে জড়িত, তাঁরা কেউই সিটি কলেজের শিক্ষার্থী নয়। আজ সকালে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা অতর্কিত হামলা করে। তারপর থেকেই ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলছে। সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা নিজেদের নাম প্রকাশ করে বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।
এর আগে, গত ১৫ এপ্রিল এই দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। এই দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটছে।