আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, মার্কিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে কোনো কথা হয়নি। এ বিষয়ে তারাও জিজ্ঞেস করেননি, আমারও বলার প্রয়োজন হয়নি। তবে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে কথা হয়েছে। এ বিষয়ে আমি আগেও যে কথা বলেছি, আজও তাদের সেসব কথাই বলেছি।
তিনি বলেন, আমি আগে যেমন বলেছিলাম, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট সেপ্টেম্বরের মধ্য সংশোধন হবে, আজও তাদের সে বিষয়টিই প্রকারান্তরে জানিয়েছি।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সচিবালয়ে আইনমন্ত্রীর দপ্তরে মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও বেসামরিক জনগণের নিরাপত্তাবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ারের নেতৃত্বে ঢাকা সফররত মার্কিন প্রতিনিধিদল।
বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে কোনো কথা হয়নি।
তিনি বলেন, তারা পরিষ্কারভাবেই বলেছেন যে, তারা নিরপেক্ষ এবং সব দেশেই ফ্রি ফেয়ার অ্যান্ড নিউট্রাল ইলেকশন দেখতে চান। গতকাল বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলকে আমার সচিব সাহেব যেমন বলেছেন যে, একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে আইনের যে অবকাঠামো প্রয়োজন তা বাংলাদেশে আছে। এসব বিষয়ে আইনের যে বিষয়গুলো সহায়ক আমি সেসব বিষয় মার্কিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে উল্লেখ করেছি।
আনিসুল হক বলেন, আমরা যে সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে চিফ ইলেকশন কমিশনার ও ইলেকশন কমিশনার নিয়োগের আইন করেছি, সে বিষয়ে জানিয়েছি। এটিও আমি জানিয়েছি যে, গত ৫০ বছরে বাংলাদেশে এ আইন হইনি। শেখ হাসিনার সরকার এ আইন করেছে। এ আইন এখন বাংলাদেশ ছাড়া এ উপমহাদেশের অন্য কোথাও নেই।
মন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু বিষয় নিয়ে তারা আমাকে বলেছেন। সেসব বিষয় নিয়ে আমরা আলাপ-আলোচনা করেছি। সেসব বিষয় নিয়ে তারা বলেছেন, ‘সুষ্ঠু তদন্ত হলে ভালো।’ আমি তাদের বলেছি, বাংলাদেশে এখন বিচারহীনতার আগের সেই সংস্কৃতি নেই। এখন দেশে সুষ্ঠু তদন্ত ও সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক বিচার হয় এবং তাই হবে।
তিনি বলেন, শহিদুল ইসলামের মৃত্যু নিয়ে তারা কথা বলেছিলেন। আমি এই পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণভাবে যেটা আলাপ করার সেটি করেছি। তবে মানবাধিকার বিষয়ে কোনো কথা হয়নি।