বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জনগণের দাবি উপেক্ষা করে একতরফা নির্বাচন করার জন্য উন্মত্ত-উদ্ভ্রান্ত হয়ে গেছে সরকার। শেখ হাসিনা তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে অবৈধভাবে তপশিল দেয়ার পাঁয়তারা শুরু করেছে। আমরা কঠোর ভাষায় হুঁশিয়ার করে দিতে চাই- এই তফসিল নাটক বন্ধ করুন। আগে পদত্যাগ করুন। কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে ক্ষমতা দিন।
তিনি বলেন, এই দলদাস আওয়ামী নির্বাচন কমিশন বাতিল করুন। তারপর তফসিল। দাবি না মানলে পরিণতি হবে ভয়ংকর।
আজ মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, এই তপশিলে বাংলাদেশে কোন নির্বাচন হবে না। কেয়ারটেকার সরকার ছাড়া কোন নির্বাচন হবে না। জনগণ ৫৭ সেকেন্ডে নৌকা মার্কায় ৪৩টি সিল মারার কোন প্রহসনের পাতানো নির্বাচন বাংলাদেশের মাটিতে হতে দিবে না।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আওয়ামী লীগ কখনোই ‘সোশ্যাল হারমোনি ও ডেমোক্রোসিতে’ বিশ্বাসী নয়। প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ঘৃণার প্রচার ও প্রসারের সংস্কৃতি তৈরি করে। এজন্যই কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ, কু-বাক্য ব্যবহার, টিপ্পনী কাটাসহ নানামাত্রার জুলুম ও নিষ্ঠুরতা নামিয়ে আনা হয় বিরোধী দলের উপর।
তিনি বলেন, এই জবরদস্তিমূলক দুঃশাসন যেকোনো মুহূর্তে উল্টে যেতে পারে সেটি আওয়ামী লীগ কখনো চিন্তা করে না। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৪২০ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।