বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ
বান্দরবান ও রাঙামাটির সীমান্তর্বতী বিভিন্ন দুর্গম এলাকায় অভিযান চালিয়ে নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কিয়ার সাতজন এবং পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের তিনজনকে আটক করেছে র্যাব।
শুক্রবার (২১ অক্টোবর) বান্দরবানের র্যাব কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে এ বিষয়ে ব্রিফিংকালে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব কথা জানান।
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, সম্প্রতি ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কিয়া’ নামে একটি জঙ্গি সংগঠন আত্মপ্রকাশ করেছে। জঙ্গিবাদে জড়িয়ে নতুন করে কথিত হিজরতের নামে ঘরছাড়া তরুণরা জামাতুল আনসারের হয়ে পাহাড়ি এলাকার আস্তানায় আশ্রয় নেন। এসব আস্তানায় হিজরত করা তরুণদের ভারি অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
তিনি বলেন,নতুন এ জঙ্গি সংগঠনকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট’ (কেএনএফ) নামে একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী। সম্প্রতি উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বেচ্ছায় হিজরতের নামে বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হওয়া বিভিন্ন জেলার ৫০ তরুণের তথ্য পায় র্যাব। তাদের মধ্যে ৩৮ জনের পুরো নাম-ঠিকানা প্রকাশ করা হয়।
‘সম্প্রতি ভারত ও মিয়ানমারের সীমান্তঘেঁষা দুর্গম পাহাড়ে বাড়িছাড়া কিছু তরুণ জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। এসব খবর পেয়ে সম্প্রতি নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কিয়া’র শীর্ষ নেতাদের ধরতে পাহাড়ে অভিযান শুরু হয়’, বলেও জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে টানা অভিযান চালিয়ে বান্দরবান ও রাঙামাটির বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নতুন জঙ্গি সংগঠনটির সাতজন এবং পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের তিনজনসহ মোট ১০ জনকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
তিনি আরও জানান, এসময় তাদের কাছ থেকে বিপুল অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করা হয়। জব্দ করা মালপত্রের মধ্যে মধ্যে রয়েছে- বন্দুক, গুলি, কার্তুজ কেইস, ওয়াকটকি, মানচিত্র ও বিভিন্ন ধরনের পোশাক।