তাইওয়ানের আশেপাশে চীনের সেনাবাহিনী প্রায় এক সপ্তাহ ধরেই বিভিন্ন কার্যক্রম ‘সফলভাবে সম্পন্ন’ করেছে বলেই জানিয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
চীনের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তাইওয়ান উপত্যকার পরিবর্তিত অবস্থা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে৷ দেশটির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ওয়েইবোর অফিশিয়াল অ্যাকাউন্টে পিপলস লিবারেশন আর্মির ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডার এসব সতর্ক বার্তা জানিয়েছেন। এই কর্মকর্তা বলেন, নিয়মিত টহল চালিয়ে যাওয়া হবে। যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে সামরিক প্রশিক্ষণ চলবে।
এর বিপরীতে, চীনের মহড়ার জবাব দিতে হাউইটজার কামান নিয়ে সামরিক মহড়া শুরু করেছে তাইওয়ানের সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার থেকে তাইওয়ান সামরিক মহড়া শুরু করেছে কিভাবেভাবে যুদ্ধের পরিস্থিতিতে চীনের সেনা বাহিনীকে মোকাবেলা করা যাবে।
বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া সামরিক মহড়ায় ‘লাইভ ফায়ার ড্রিল’ অর্থাৎ আসল গোলা ছুঁড়ে লড়াইয়ের কৌশল শক্তপোক্ত করে নিচ্ছে স্বশাসিত দ্বীপরাষ্ট্রটির গোলন্দাজ বাহিনী।
তাইওয়ানের সেনার অষ্টম আর্মি কোরের মুখপাত্র লউ ওয়েই জাই জানিয়েছেন, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের পিংটাং প্রদেশে সামরিক মহড়া শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার এই দু’দিন চীনের বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কৌশল ঝালিয়ে নেওয়া হবে।
চীনের বিপক্ষে তাইওয়ানের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এই মহড়ায় অংশ নিচ্ছে প্রায় ৪০টি হাউইটজার কামান ও হাজারেরও বেশি সেনা।
চীন-তাইওয়ানের মধ্যকার এ উত্তেজনা শুরু হয় গত সপ্তাহে মার্কিন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরকে কেন্দ্র করে।