গ্রীষ্মের তপ্তদাহে উত্তপ্ত নগরী, সেই উত্তাপ যেন ছড়িয়েছে ক্রিকেটা পাড়াতেও। মিরপুর স্টেডিয়ামের ভেতরে বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে। মূলত, বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক ও ডেশিং ওপেনার তামিম ইকবাল হাজির হয়েছিলেন বিসিবিতে। তার সঙ্গে ছিলেন ক্রিকেটাররাও। বিসিবির সভাপতি ফারুক আহমেদের সঙ্গে তারা এক বৈঠকে বসেছিলেন। এই বৈঠকেই ঘটে বাকবিতণ্ডার ঘটনা।
সেখানে হাজির হয়েছিলেন ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাজমুল আবেদীন ফাহিম, আম্পায়ার্স ও মিডিয়া কমিটির প্রধান ইফতেখার রহমান মিঠু। বৈঠক চলাকালীন তামিমের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের সঙ্গে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবির একটি সূত্র।
ডিপিএলের ম্যাচ চলাকালীন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তামিম। এরপরে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ছিলেন তিনি। বর্তমানে সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন। দেশসেরা ওপেনার সুস্থ হওয়ার পরে প্রথম বার গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবেন, এমন খবরে গণমাধ্যমকর্মীরা হুমড়ি খেয়ে পড়েছিলেন বিসিবিতে।
সকাল থেকে রোদের উত্তাপ উপেক্ষা করে শুরু হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা। তামিমের আমন্ত্রণে ছুটে এসেছিলেন বিসিবি কর্তারাও।
দুপুরের পরে শুরু হয় তাদের বৈঠক। দেয়ালের ওপাশে কী কথা হচ্ছে কিংবা কী কী চলছে, সেটি অপেক্ষমাণ গণমাধ্যমকর্মীরা কেবল কল্পনার চেষ্টা করেছেন। এর বেশি কোনো কিছু জানার সুযোগ ছিল না।
সন্ধ্যা ৬টার সময়ে বৈঠক শেষ করে তামিম গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন, কয়েকটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তবে কোনো কথা না বলেই বিসিবি প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন ফারুক আহমেদ।
এরপরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৈঠক চলাকালীন বিসিবি সভাপতির সঙ্গে তামিমের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছে।
একপর্যায়ে তামিমকে শান্ত করতে ফারুক বলেন, ‘তামিম কোয়ায়েট (শান্ত হও)।’ তামিম উলটো বলেন, ‘ইউ কোয়ায়েট (আপনি শান্ত থাকুন)।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিসিবির সূত্র বলেন, ‘সিদ্ধান্তে আসা নিয়ে একটু কথা কাটাকাটি হচ্ছিল। এর বাইরে আর কিছুই না। খুবই ভালোভাবে বৈঠক শেষ হয়েছে।’