ক্রিকেটার তামিম ইকবালের অসুস্থতার খবর কি বুঝিয়ে দিলো তাকে কতটা ভালোবাসেন সকলে? সোমবার সকালে সাভার বিকেএসপি মাঠে হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন তামিম। এরপর তাকে হাসপাতালে নেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই যেন দেশবাসীর দুই হাত এক হয়ে গেল প্রার্থনা কামনায়। সবার চাওয়া তখন একটাই, তামিম ইকবাল সকলের মাঝে ফিরে আসুক।
সামাজিক মাধ্যমের প্রেক্ষাপটে, এদিন তামিমের অসুস্থতার খবরে ভরে ওঠে সকল প্ল্যাটফর্মের নিউজফিড। দেশের তারকাঙ্গনও চুপ থাকে কি করে! নানা ব্যস্ততার মাঝেও তাদেরও সেই একই প্রার্থনা- তামিম যেন সুস্থ হয়েই ফেরেন।
যেমন, দেশের তরুণ প্রজন্মের নির্মাতা মাবরুর রশিদ বান্নাহ একাধিক পোস্ট দিয়েছেন তামিমকে নিয়ে। সৃষ্টিকর্তার কাছে তার সুস্থতা কামনা করে এই শিল্পী লিখেছেন, ‘ইয়া রাব্বুল আলামিন আপনি তামিম ইকবালকে দ্রুত সুস্থ করে দিন।’
তামিমের সুস্থতা চেয়েছেন ছোট পর্দার অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদ। তার একটি ছবি পোস্ট করে অভিনেতা লিখেছেন, ‘গেট ওয়েল সুন ভাই।’
ব্যাচেলর পয়েন্ট খ্যাত অভিনেতা জিয়াউল হক পলাশ লিখেছেন, ‘সুস্থ হয়ে উঠুক তামিম। আল্লাহ সহায় হোন।’
চিত্রনায়ক আরিফিন শুভও তামিমের সুস্থতা কামনার অপেক্ষায় রয়েছেন। এই নায়ক লিখেছেন, ‘হিরোদের ফিরে আসতে হয় আরও শক্তিশালী হয়ে। আপনি সুস্থ হয়ে ফিরে আসবেন ইনশাআল্লাহ। সেই অপেক্ষায়।’
চিত্রনায়ক ওমর সানী লিখেছেন, ‘আমরা সবাই তামিম ইকবালের জন্য দোয়া করি, আল্লাহ তাকে সুস্থ করে আমাদের মাঝে নিয়ে আসুন। তামিম মানেই বাংলাদেশ।’
এর আগে ঢাকাই মেগাস্টার শাকিব খান তামিম ইকবালের সুস্থতা কামনা করে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেটের গর্ব তামিম ইকবালের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। প্রার্থনা করি, আল্লাহ তাকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে আনুন।’
প্রসঙ্গত, সোমবার সকালে মোহামেডানের হয়ে ডিপিএলের ম্যাচ খেলতে সাভার বিকেএসপি মাঠে অল্প সময়ের মধ্যেই দুইবার হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন তামিম ইকবাল। জরুরি অবস্থায় তাকে নিকটস্থ হাসপাতালে নেওয়ার পর হার্টে রিং পরানো হয়েছে। এমনকি বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলেও জানা গেছে।
চিকিৎসক জানিয়েছে, তামিম ইকবাল একিউট এমআই বা হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন, যার ফলে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। প্রাথমিকভাবে প্রাইমারি পিসিআই করা হয় এবং এলসিএক্স নামের ধমনীতে ব্লক ধরা পড়ে। তাই জরুরিভিত্তিতে সেখানে স্টেন্ট (রিং) বসানো হয়েছে। এর মাধ্যমে ব্লকেজ কমে গিয়ে হার্টে রক্তপ্রবাহ বাড়ে, যা তাকে দ্রুত সুস্থ হতে সহায়তা করবে।