বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, চিকিৎসকরা খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। দল ও পরিবারের পক্ষ থেকে বহুবার খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে।
শনিবার(১১ জুন) রাজধানীর গুলশানের বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ‘বাজেট ২০২২-২৩ বিএনপির প্রতিক্রিয়া’ প্রসঙ্গে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে ফখরুল একথা জানান।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী আজ পর্যন্ত তার (খালেদা জিয়া) চিকিৎসার জন্য, তাকে যে বিদেশে পাঠানো দরকার সেই বিষয়টাকে সম্পূর্ণ বাতিল করে দিয়ে যে ব্যবস্থাটা বলেন, সেটা সম্পূর্ণভাবে সঠিক নয়। আজ আবার তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় আরও প্রমাণিত হলো, অবিলম্বে বিদেশে উন্নত চিকিৎসাকেন্দ্রে পাঠিয়ে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে না পারলে তার জীবন হুমকির মুখে পড়বে।।
ফখরুল বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এখনো দলীয়ভাবে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করব। এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। জনগণের দাবি তার চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানো হোক।
পরিবারের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা দেখা করেছেন। এরপরও অনুমতি দেওয়া হয়নি।
যদিও তারা (সরকার) অনির্বাচিত এমনটা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তবুও আজ আমি আবার তাদের কাছে আহ্বান জানাতে চাই- দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার জীবন রক্ষার জন্য দেশের বাইরে তার চিকিৎসা করার ব্যবস্থা নেওয়া হোক। অন্যথায় আমরা আবারো বলছি, সব দায়দায়িত্ব কিন্তু এই সরকারকে বহন করতে হবে।
গত রাতে খালেদা জিয়ার মাইল্ড হার্টঅ্যাটাক হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা আগে থেকেই বলে আসছি তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে বিদেশে নেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু সরকার এ বিষয়ে কর্ণপাত করছে না। খালেদা জিয়ার কিছু হলে এর দায় সরকারকে নিতে হবে।
তিনি আরও জানান, গত রাতে হাসপাতালে ভর্তির পর খালেদা জিয়ার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছিল। পরে তার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা এনজিওগ্রাম করার সিদ্ধান্ত নেন। শনিবার দুপুর একটার দিকে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম সম্পন্ন হয়েছে।
হার্টের সমস্যার চিকিৎসা শেষে আপাতত খালেদা জিয়া রিলিফ পেয়েছেন বলেও জানান মির্জা ফখরুল।